জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৮৮ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
তারা নাফনদ পেরিয়ে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে নৌকায় টেকনাফ কোস্টগার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
রবিবার (৫ মে) বিকালে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান।
তিনি বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারী ৮৮ জন মিয়ানমারের বিজিপিকে আমরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সীমান্তে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রবিবার সকালে নাফনদ পেরিয়ে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে নৌকায় করে ৮৮ বিজিপি সদস্য অস্ত্রশস্ত্রসহ কোস্টগার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের নিরস্ত্র করে কোস্টগার্ড হেফাজতে নেয়।
এদিকে, শনিবার (৪ মে) তিনটি পয়েন্ট দিয়ে অন্তত ৪৪ জনকে পালিয়ে আসতে দেখা গেছে। এর মধ্যে সাবরাং আচারবুনিয়া সীমান্ত দিয়ে ১৮ জন, নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২২ জন এবং নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে চার জন প্রবেশ করেছেন।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, ‘নতুন করে সীমান্ত দিয়ে কিছু বিজিপি সদস্য ঢুকে পড়েছে বলে শুনেছি। সীমান্তে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহলের পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে আছেন।’
সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, ‘আবারও মিয়ানমারের সীমান্তে বিকট গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। ওপারে যুদ্ধের কারণে টিকতে না পেরে দেশটির বিজিপির সদস্যরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার খবর পাচ্ছি। এ ছাড়া সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারাও অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জেনেছি।’
এর আগে, দুই দফায় পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনাবাহিনীর ৬১৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল ২৮৮ জন বিজিপি ও সেনা এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জন বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।
জেএন/পিআর