চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশাতেই গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। গত শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে।
পরে অভিযোগ পেয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সাগরকে সোমবার রাতে ডবলমুরিং এলাকা থেকে এবং রাত ২ টার দিকে হালিশহরের বড় পোল বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজি চালক মো. আক্তারকে গ্রেফতার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। তাছাড়া ঘটনায় ব্যবহৃত সিএনজিটিও জব্দ করা হয়।
গ্রেফতার মো. সাগর কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা। বর্তমানে সে নগরীর ডবলমুরি এলাকার মিস্ত্রিপাড়ার একটি ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি অটোরিকশা গ্যারেজে মেকানিকের কাজ করতে।
ওই গ্যারেজেই পরিচয় হয় ভোলা জেলার বাসিন্দা সিএনজি চালক মো. আক্তারের সাথে। এদিকে ভিকটিমের বাসাও একই এলাকায় হওয়াতে সাগরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পোশাক কর্মী লাইলা (ছদ্মনাম)র।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতার সিএনজি চালক আক্তার ও সাগর পরস্পর পূর্ব পরিচিত। শুক্রবার সাগর তার বান্ধবী ভিকটিম তরুণীকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে নিয়ে যাবার কথা বলে আক্তারের সিএনজিতে তুলেন।
সিএনজিটি ইপিজেড থানাধীন নির্জন এলাকায় পৌছালে জোরপূর্বক সিএনজির মধ্যেই ওই তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়। একইদিন রাত ১১ টার দিকে ডবলমুরিং এলাকায় সিএনজি থামিয়ে ভিকটিমকে রেখে তারা পালিয়ে যায়।
পরদিন ভিকটিম ডবলমুরিং থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে সোমবার ডবলমুরিং এলাকা থেকে সাগর এবং হালিশহর এলাকা থেকে চালক আক্তারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় টিম ডবলমুরিং।
আজ মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডবলমুরিং মডেল থানার ওসি ফজলুল কাদের পাটোয়ারী। তিনি বলেন, গ্রেফতার দুজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জেএন/পিআর