কক্সবাজার জেলার রামু গর্জনিয়া ও জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় আবুল কাশেম (৪৮) নামে এক কৃষককে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) গভীর রাতে উপজেলার গর্জনিয়া বড়বিল গ্রামের কাঠুরিয়ারা নারাইম্মাঝিরি পাহাড় এলাকায় তাকে হত্যা করা হয়।
ভোর সোয় ৫টার দিকে স্থানীয়রা তার লাশ দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দিলে স্বজনরা এসে লাশটি শনাক্ত করে বাড়ি নিয়ে যায়।
নিহত কাশেম রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের বড়বিল এলাকার মৃত আলী আহমদের ছেলে। নিহত আবুল কাশেমের স্ত্রী বর্তমানে গর্ভবতী। তাঁর আরও একটি ৪ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রামু সিমান্তে দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের অবৈধ গরু পাচার করে আসছেন পুর্বাঞ্চলের আলোচিত ডাকাত শাহীন গ্রুপ।
সম্প্রতি গরু পাচারে বাঁধা দেওয়ায় পাচারকারী ডাকাতদলটি কৃষক আবুল কাশেমের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে শাহীনের দল। এমনটাই অভিযোগ করেছেন নিহত আবুল কাশেমের ভাই মো. শহীদুল্লাহ। তিনি প্রশাসনের কাছে তার ভাইয়ের হত্যার বিচার কামনা করেন।
গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান চৌধুরী বাবুল হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাতের আঁধারে গরু পাচারের সময় ডাকাতরা আবুল কাশেমকে গুলি করে হত্যা করেছেন।
চেয়ারম্যান বাবুল আরও জানান, গত কয়েক মাসের ব্যবধানে এ ইউনিয়নে গরু পাচারকে কেন্দ্র করে চারজনকে হত্যা করা হয়েছে। বর্তমানে পুরো ইউনিয়নের জনসাধারণ আতঙ্কে রয়েছে।
তিনি নিজেও আতঙ্কিত এ কথা জানিয়ে বাবুল বলেন, গরু পাচার রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়ানোর দাবি জানানো হলেও বাস্তবে তা হচ্ছে না। যে কারণে অপরাধীরা নির্বিঘ্নে চুরি, ডাকাতি, হত্যার মতো অপরাধ সংগঠিত করে পার পেয়ে যাচ্ছে।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান, কৃষক আবুল কাশেমের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।
জেএন/পিআর