পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত স্কোয়াড্রন লীডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৯ মে (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ৯টার সময় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাটিতে নিহতের জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়।
জানাজার নামাজ শেষে নিহত স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের পিতা ডা. মোহাম্মদ আমানুল্লাহ উপস্থিত সবার কাছে ছেলের জন্য চেয়েছেন। পাশাপাশি সহকর্মীদের উদ্দেশ্য ছেলের ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ সময় সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিকল্পনা) এয়ার ভাইস মার্শাল মু. কামরুল ইসলাম, বিবিপি, বিএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি ও বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকের এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে এম শফিউল আজম, ওএসপি, জিইউপি, এনডিসি, পিএসসিসহ অন্যান্য সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে কর্ণফুলী নদীতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান (ইয়াক-১৩০) বিধ্বস্ত হয়। এসময় পাইলট উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খাঁন, পিএসসি এবং স্কোয়াড্রন লীডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ জরুরী প্যারাসুট দিয়ে বিমান থেকে নদীতে নেমে পড়েন।
পরে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাইলট আসিম জাওয়াদ মারা যান। অপর পাইলট মো. সোহান হাসান খান বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মৃত্যুকালে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের বয়স হয়েছিল ৩২ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক কন্যা, এক পুত্র, বাবা-মা এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এছাড়া বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, বিবিপি, বিইউপি, এনএসডব্লিউসি, এফএডব্লিউসি, পিএসসি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। দুর্ঘটনায় পতিত বিমানটিকে উদ্ধারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জেএন/এমআর