মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলের নাম মনোনয়ন দিয়েছেন।
এ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এ মনোনয়নকে স্বাগত জানাই। নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে আশা করি।
শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে মানবাধিকার অনেক দেশের চেয়ে ভালো। বিশ্বের কোনো দেশেই মানবাধিকার আদর্শ অবস্থানে নেই।
হাছান মাহমুদ বলেন, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ যেভাবে দমন করছে, সেটি আমরা টিভির পর্দায় দেখছি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নাগরিক আন্দোলনকে কীভাবে পুলিশ দমন করছে, সেটিও আমরা দেখছি।
তিনি বলেন, সব দেশের উচিত মানবাধিকার উন্নয়নে একযোগে কাজ করা। আমরাও আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে মানবাধিকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ড. এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এর আগে বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈশাখী উৎসব অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যারা বিভিন্ন সময় ছবক দিয়েছে, তাদের দেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি কেমন, তা সবাই দেখতে পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
আর অন্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো বলেও দাবি করেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপর দমন নিপীড়নের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নতির জন্য সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে।
‘বাংলাদেশের সামান্য ঘটনাতেও যারা বিভিন্ন সময় উদ্বেগ জানিয়েছে, তাদের উচিত নিজেদের দেশেও নজর দেয়,’ মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় উপজেলা নির্বাচন নিয়েও কথা বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, বিএনপি ভোট বর্জনের ডাক দেয়ার পরও যে পরিমাণ ভোট পড়ছে. তা সন্তোষজনক।
জেএন/পিআর