সোমালিয়ান জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমানায় পৌঁছেছে।
সোমবার (১৩ মে) কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নোঙর করতে পারে জাহাজটি।
গতকাল এসব তথ্য নিশ্চিত করে জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পার্সন মিজানুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৯ মে) বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছেছে। এখন বাংলাদেশ অভিমুখে চলছে।
তিনি বলেন, ১৩ মে বিকাল নাগাদ আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছাতে পারে। সেখানে কিছু পণ্য খালাস করবে। এতে দুই দিন সময় লাগতে পারে। তারপর চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বাকি পণ্য খালাস করবে।
এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছানোর পর নাবিকরা জাহাজে করেই চট্টগ্রামে পৌঁছাবে, নাকি আগেই জাহাজ থেকে নেমে চট্টগ্রাম যাবে, সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান মিজানুল ইসলাম।
জাহাজের মালিকপক্ষ এর আগে জানিয়েছিল, এমভি আবদুল্লাহ দেশে পৌঁছাতে পারে ১২ মে। জাহাজে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন পাথর রয়েছে।
জাহাজ চলচাল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মেরিটাইম ট্রাফিকের ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার রাতে এমভি আবদুল্লাহ শ্রীলঙ্কার কাছেই বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল।
ভারতের পূর্ব উপকূলে জাহাজের অবস্থান দেখানো হয় মেরিটাইম ট্রাফিকের ওয়েব ম্যাপে। মেরিটাইম ট্রাফিকের ওয়েবসাইটে এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙরে পৌঁছার সম্ভাব্য সময় দেখানো হচ্ছে ১৪ মে।
গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করে দস্যুরা।
নানা উদ্বেগ–উৎকণ্ঠার মধ্যে দিয়ে ৩৩ দিন পর ১৩ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। এরপর গন্তব্য দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় জাহাজটি।
১৩ মের হিসাবে জিম্মি দশার ঠিক দুই মাস পর দেশে ফিরছেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক, যাদের সবাই বাংলাদেশি। জিম্মি দশার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেরা নাবিকদের অপেক্ষায় পরিবার ও স্বজনেরা।
জেএন/পিআর