চট্টগ্রামের ইপিজেডে মেহেদী হাসান নামে এক তরুণকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে থানা পু্লিশ।
গতকাল শুক্রবার রাত থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত ইপিজেড থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার দুই আসামি হলেন, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার তেলিকান্দি গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে সাদিকুর রহমান (২৬) এবং একই জেলার সদর থানার পোরগোলা গ্রামের সর্দার বাড়ির মো. হাশেম শেখের ছেলে মো. হাফিজুল ইসলাম (২৬)।
এদের মধ্যে সাদিকুর ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের হোয়াইট হাউস এবং হাফিজুল সিমেন্ট ক্রসিং জানু সওদাগরের দোকান সংলগ্ন লায়লা ভবনের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ৯ মে বেলা দুইটার দিকে সিইপিজেডের কন্ডা আর্টস ম্যাটেরিয়ালস নামের কারখানার শ্রমিক সাদিকুর এবং রমজানের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে একই পোশাক কারখানায় কর্মরত মেহেদী হাসান রিফাত বিষয়টি মীমাংসা করে দিলেও রিফাত রমজানের পক্ষ নিয়েছে ভেবে সেটি মেনে নেয়নি সাদিকুর।
পরে কিশোর গ্যাংয়ের সহযোগীতা নিয়ে রিফাতকে মারার পরিকল্পনা করে সাদিকুর।
পরিকল্পনা মতে ওইদিন রাতেই আকমল আলী পকেট গেটমুখী মেসার্স আশা মনি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ফটোকপির দোকানের সামনে রিফাত ও মেহেদী হাসানের ওপর হামলা চালায় সাদিকুরের টিম।
এক পর্যায়ে মেহেদী হাসানের বুকের মাঝখানে ছুরিকাঘাত করা হলে তিনি গুরুতর আহত হন। উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১০টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় রিফাত এবং শহিদুল নামে দুই যুবক।
পরদিন খুনের ঘটনায় নিহত মেহেদীর মা রেহানা বেগম বাদী হয়ে সাদিকুর রহমান এবং রমজান আলীর নাম উল্লেখসহ আরও ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার সুত্র ধরে সাদিকুর ও হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে টিম ইপিজেড।
আজ শনিবার বিকেলে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেন ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোছাইন।
তিনি বলেন, গ্রেফতার দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জেএন/পিআর