আগের ম্যাচে বাজে ব্যাটিংয়ের পর ১৪৩ রান করেও বেঁচে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এর পেছনে অবশ্য সাকিব আল হাসানদের বোলিং নৈপুণ্যের পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং ব্যর্থতাও ছিল। তবে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আর ১৫৭ রান যথেষ্ট হয়নি টাইগারদের। কারণ এই ম্যাচেই যে রোডেশিয়ানদের হয়ে চলতি সিরিজে প্রথম ফিফটির দেখা মিলেছে। ব্রায়ান বেনেট ও সিকান্দার রাজার ফিফটিতে ৮ উইকেটে সান্ত্বনার জয় পেল জিম্বাবুয়ে।
পুরো সিরিজজুড়েই ব্যাট হাতে ধুঁকছিলেন জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক। সেই রানখরা তিনি আজ কাটালেন ফিফটি হাঁকিয়ে। অন্যপ্রান্তে টাইগারদের হয়ে সবচেয়ে খরুচে বোলিং করা সাইফউদ্দিন যতক্ষণে বেনেটকে ফিরিয়েছেন, ততক্ষণে ম্যাচ প্রায় সফরকারীদের হাতে চলে গেছে। ৪৯ বলে ৭০ রান করেছেন বেনেট। এ ছাড়া রাজা অপরাজিত ছিলেন ৭২ রানে। ফলে ৯ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিলো তার দল।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা খারাপ ছিল না জিম্বাবুয়ের। যদিও সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন পাওয়ার প্লেতে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। তবে সাইফউদ্দিন ও শেখ মেহেদীর কল্যাণে রোডেশিয়ানরা প্রথম পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৪৩ রান তোলে। তাদের উদ্বোধনী জুটি টিকে ৩৮ রান পর্যন্ত। এর ভেতর পুরো রানই এসেছে বেনেটের ব্যাটে। সাকিবের বলে আউট হওয়া তাদিওয়ানাশে মারুমানি করেন মাত্র ১ রান।
এরপর বেনেটের সঙ্গে ৭৫ রানের জুটি গড়েন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক রাজা। সেখানেই ম্যাচ জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যায় সফরকারীদের। এক সাকিব ছাড়া সব বোলারের বলেই ভয়ডরহীন বাউন্ডারি খেলেছেন বেনেট। তার সঙ্গে ধীরে ধীরে তাল মিলিয়ে রাজাও রানের গতি বাড়িয়েছেন। একপর্যায়ে ৩৬ বলে ফিফটি তুলে নেন বেনেট, যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার দ্বিতীয়। সাইফউদ্দিনের বলে আউট হওয়ার আগে এই ওপেনার ৪৯ বলে ৫টি করে চার–ছক্কায় ৭০ রান করেছেন।
তখনও জিম্বাবুয়ের কাজ বাকি ছিল যা জোনাথন ক্যাম্পবেলকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপদে পার হয়েছেন রাজা। দুজনের ৪৫ রানের জুটিতেই সফরকারীদের সিরিজে প্রথম জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। ৪৬ বলে ৬টি চার ও ৪ ছক্কায় জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে এক উইকেট পেয়েছেন সাকিব। সমান ওভারে ৫৫ রান দিয়ে সাইফউদ্দিনও এক উইকেট শিকার করেছেন।
এর আগে ১৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর টাইগারদের বড় পুঁজির আশা দেখিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও নাজমুল শান্ত। টাইগার অধিনায়ক ধীরগতির ইনিংস খেলে ৩৬ রানে ফিরলেও, অষ্টম টি-টোয়েন্টি ফিফটি করেন রিয়াদ (৪৪ বলে ৫৪)। শেষদিকে জাকের আলীর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে (১১ বলে ২৪) নির্ধারিত ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৫৭ রান। এ ছাড়া সাকিব ২১ রান (১৭ বল) করেন।
এই ম্যাচের একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে নামে বাংলাদেশ। সেই তালিকায় চোখ রাখলে দেখা যায়– ১০ ব্যাটসম্যানের সঙ্গে খেলছেন কেবল ১ জন জেনুইন বোলার। যদিও ব্যাটারদের মধ্যে চারজন আবার নিয়মিত অলরাউন্ডার। সবমিলিয়ে লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও দৈন্যদশা বাংলাদেশের।
জেএন/এমআর