পাহাড়ের সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফ এর সদস্যরা যাতে সীমান্ত পার হয়ে যেতে না পারে সেদিকে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি সতর্ক অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
সোমবার বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলার বিভিন্ন অপারেশন এবং সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
রুমা ব্যাটালিয়নে বিজিবি মহাপরিচালক সাংবাদিকদেনর বলেন, কেএনএফ বর্ডার এলাকায় যাতে কোনো অপারেশন চালাতে না পারে এবং বর্ডার ক্রস করে যেতে না পারে সেলক্ষ্যে বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ব্যাংক ডাকাতি বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে কেউ পার পেতে পারেনি কেএনএফ সন্ত্রাসীরাও পার পাবে না। বিজিবির সদস্যরা অভিযানে অংশ নিচ্ছে তাই তাদের মনোবল চাঙ্গা করতে আমি নিজে এখানে এসেছি এবং সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখেছি।
গত ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সশস্ত্র সদস্যরা ব্যাংকের নিয়োজিত গ্রাম পুলিশ ও ব্যারেকে থাকা আনসার সদস্যদের ১৪ টি অস্ত্র ও গুলি লুট করে নিয়ে যায়।
এছাড়াও ডাকাতির সময় ব্যাংক ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় কেএনএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। পরে অভিযানে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়।
ওই সময় ব্যাংক সংলগ্নে অবস্থিত মসজিদে সশস্ত্র অবস্থায় প্রবেশ করে তারাবি নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের জিম্মি করে মারধর করা হয়।
পরদিন ৩ এপ্রিল দিন-দুপুরে উপজেলা থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কেএনএফ এর সশস্ত্র সদস্যরা।
এ ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। ব্যাংক ডাকাতি ও গোলাগুলির ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে।
সোমবার ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে বান্দরবানের থানচি উপজেলার বলিপাড়া যান এবং বিজিবির বান্দরবান সেক্টরের আওতাধীন বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন পরিদর্শন করেন।
মহাপরিচালক বলিপাড়া সীমান্ত এলাকায় যান এবং কয়েকটি ক্যাম্প ও বিওপি ঘুরে বিজিবি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন।
জেএন/পিআর