কক্সবাজার জেলার উখিয়ার গহীন পাহাড়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ২ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি গ্রেনেড, ৩টি রাইফেল গ্রেনেড, ১০টি দেশীয় তৈরী হ্যান্ড গ্রেনেড, ১৩টি ককটেল, ১টি বিদেশী রিভলবার, ৯ রাউন্ড ৯ এমএম পিস্তলের এ্যামুনিশন, ১টি এলজি এবং ৩টি ১২ বোর কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি গ্রেনেড, ৩টি রাইফেল গ্রেনেড, ১০টি দেশীয় তৈরী হ্যান্ড গ্রেনেড, ১৩টি ককটেল, ১টি বিদেশী রিভলবার, ৯ রাউন্ড ৯ এমএম পিস্তলের এ্যামুনিশন, ১টি এলজি এবং ৩টি ১২ বোর কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উখিয়া ১৫ নং ক্যাম্পের সৈয়দুল আবরার ছেলে মো. শাহনুর প্রকাশ মাস্টার সলিম ও বালুখালী ০৮/ডব্লিউ রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ব্লক-এ/২৩ এর মৃত মোহাম্মদ নুরের ছেলে মো. রিয়াজ (২৭)।
আজ বুধবার সকালে এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা।
বুধবার (১৫ মে) ভোররাত থেকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের গহীন এ পাহাড়ে অভিযান শুরু হয়।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বেশকিছু দিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিসহ কয়েক রোহিঙ্গাকে গুলি ও গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটছে।
এরই প্রেক্ষিতে র্যাব ক্যাম্পে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। তারই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়ার ক্যাম্পসংলগ্ন গহীন পাহাড়ে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার আস্তানা অবস্থান শনাক্ত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ২টা থেকে অভিযান শুরু হয় এবং পুরো লাল পাহাড় ঘিরে ফেলা হয়। এক পর্যায়ে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। এরপর র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
এ পর্যন্ত একটি আস্তানা থেকে দুই সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট সেল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান চলমান রয়েছে।
সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গ্রেনেডসহ শীর্ষ ২ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়েছে। সকাল ১১টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
জেএন/পিআর