চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার হিংঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইলিয়াসের কবর খুঁড়তে গিয়ে গ্রেনেড সদৃশ একটি বস্তুর সন্ধান মিলেছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বস্তুটি উদ্ধার করা হলেও প্রথমে তা কেউ গুরুত্ব সহকারে নেয়নি। পরে গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি এক যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার পর বিষয়টি নিয়ে হৈ চৈ পড়ে যায়।
ছবিসহ পোস্টটি ভাইরাল হলে আজ বুধবার সকাল থেকে পুরো এলাকা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করে। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হলে জোরাগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে গ্রেনেড সদৃশ একটি বস্তুটির চারপাশে বালির বস্তা দিয়ে চাপা দেয়।
ফেসবুকে পোস্ট করা যুবক জাহিদ হাসান ফিরোজ জানায়, হিংঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইলিয়াসের কবর খুঁড়তে গেলে পরিত্যক্ত গ্রেনেড পাওয়া যায়। বস্তুটি সম্পর্কে কারো ধারণা না থাকায় প্রথমে গ্রামবাসী কেউই আমলে নেয়নি।
আজ সকালে ওই বস্তুটির ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করলে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে থানাকে াবহিত করলে পুলিশ এসে বালির বস্তা দিয়ে বস্তুটিকে চাপা দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি এখনো অবিস্ফোরিত অবস্থায় রয়েছে, যা বিস্ফোরণ হলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তারা বস্তুটি নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান।
হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শাহ আলম জানান, বস্তুটিকে দেখতে প্রথমে লোহা মনে হলেও শ্রমিকরা ওপরের মাটি পরিষ্কার করার পর সেটি গ্রেনেড বলে মনে হচ্ছে।
তিনি ধারণা করছেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ছোড়া গ্রেনেডটি কোনো কারণে হয়তো বিস্ফোরিত হয়নি। দীর্ঘ সময় মাটিচাপা থাকায় এর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি থানাকে জানানো হয়েছে।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল হারুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়। টিমটি বালির বস্তা দিয়ে বস্তুটি চাপা দেয় এবং বোমা ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়।
জেএন/পিআর