আবারও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নিয়ে মিডিয়া সরব হয়ে উঠেছে। কিছুদিন আগে নতুন মেয়াদে নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল জয়লাভ করেন।
নিয়ম অনুযায়ী শপথগ্রহণ শেষে নির্বাচিত কমিটি দায়িত্বও গ্রহণ করেছে সমিতির। কিন্তু এরই মধ্যে সাধারণ সম্পাদকের পদে হেরে যাওয়া নিপুণ আক্তার ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ছবিপাড়ায় বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
অনেকেই বলাবলি করছেন, গত মেয়াদেও নিপুণ এই শিল্পী সমিতি নিয়ে কোর্টের মাধ্যমে জায়েদ খানের সঙ্গে বেশ চড়াই-উৎরাই শেষে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এবারও এমন করায় শিল্পী সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলেও অনেকেই অভিযোগ করেন।
এদিকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করেছিলেন নিপুণ আক্তার।
গণমাধ্যমে শিল্পী সমিতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন নিপুণ। এবার একই কারণে নিপুণও সদস্যপদ হারাতে পারেন বলে জানা গেছে।
নিপুণের সদস্যপদ কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি। গত বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যকরী সভা শেষে এমনটা জানিয়েছেন সহসভাপতি ডি এ তায়েব।
তাই এ বিষয়ে সমিতির পদক্ষেপ কী হতে পারে, তা নিয়ে বৈঠক করেন সদস্যরা।
বৈঠক শেষে ডি এ তায়েব বলেন, ‘রিট করা নিয়ে আমরা এখনো ভাবছি না। আমাদের কাছে নোটিশ এলে আইনিভাবে তা মোকাবিলা করা হবে।’
এর এক দিন আগে সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’সহ নানা কুরুচিপূর্ণ ভাষায় নিপুণ গালাগালি করেন বলেন জানান ডি এ তায়েব।
বিষয়টি তুলে তিনি বলেন, নিপুণ আক্তার গণমাধ্যমে সমিতির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে যা বলেছেন, তা কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কমিটির সবাই।
তার সদস্যপদ কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হবে। ৭ দিনের মধ্যে যদি তিনি উত্তর না দেন অথবা উত্তর যথোপযুক্ত মনে না হয়, তাহলে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।’
বৃহস্পতিবার সমিতির সভার আগে মিশা-ডিপজল প্যানেলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের সময় সদস্যপদ ফিরে পাওয়া ১০৩ শিল্পী। এ সময় নির্বাচন বাতিল চেয়ে রিট করা নিপুণকে নিয়ে কথা বলেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডিপজল।
তিনি বলেন, ‘আজকে যাকে (নিপুণ) নিয়ে কথা হচ্ছে, সে তো তার বাপকেই অস্বীকার করছে। রক্তে সমস্যা না থাকলে এটা হওয়ার কথা না।
যাকে (ডিপজল) দিয়ে সবাই তার মুখ চিনল, তাকেই সে ভুলে যায়। সে কি আমাদের সঙ্গে টেস্ট খেলতে চায়? এস খেল। কিন্তু আমরা চাই ভদ্রতা ও নম্রতা। চলচ্চিত্র কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেদিকেই কাজ করব।’
প্রসঙ্গত, বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে। নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় এ রিট করেন।
এই মুহূর্তে নিপুণ যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। নিউইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসে ফ্লাই করার আগ মুহূর্তে তিনি গণমাধ্যমকে জানালেন, ‘হ্যাঁ এই রিট আমি করেছি। অর্থাৎ আমার পক্ষ থেকেই করা হয়েছে।
রিটে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
জেএন/পিআর