চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের তমিজউদ্দিন সেরাং বাড়িতে ভয়ংকর এক বিপদ নিয়ে খেলছিল ছোট ছোট শিশুরা। ঘটতে পারতো প্রাণহানির ঘটনা।
তবে ভাগ্য সহায়। আরাফাত হোসেন সাব্বির নামে এক কিশোরের বুদ্ধিমত্তায় বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি।
জানা গেছে, কিছুদিন আগে ওই বাড়ি সংলগ্ন একটি পুকুর খনন করা হয়েছে। পুকুর থেকে তুলে আনা মাটিগুলো রাখা হয় বাড়ির উঠানে।
রবিবার (১৯ মে) সকাল ১০টার দিকে জমানো মাটি থেকে অবিস্ফোরিত একটি গ্রেনেড কুড়িয়ে খেলছিলো শিশুরা। আরাফাত হোসেন সাব্বির নামে এক কিশোর সেটি দেখতে পেয়ে ফোন করেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে। তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের টিম।
তারা অবিস্ফোরিত গ্রেনেডটি নিরাপদ স্থানে রেখে বোমা ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেন। টিম ঘটনাস্থলে পৌছালে বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে খোলা মাঠে নিয়ে গ্রেনেডটির বিস্ফোরণ ঘটায় বোমা ডিসপোজাল ইউনিট।
এসব তথ্য জানায় সৈয়দপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন রিপন। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে বাড়ির পাশে একটি পুকুর খনন করে মাটিগুলো উঠানে রাখা হয়। মাটি শুকিয়ে গেলে রবিবার সকালে সেখানে একটি গ্রেনেডসদৃশ বস্তু দেখতে পাই শিশুরা। তারা খেলনা ভেবে সেটি নিয়ে খেলছিল।
এসময় এক কিশোর দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। তিনি জানান, আজ ওই কিশোরের বুদ্ধিমত্তায় ছোট ছোট অনেকগুলো শিশু প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন জানান, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে বোমা ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেন। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খোলা মাঠে গ্রেনেডটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এ গ্রেনেডটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বলে তিনি প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।
জেএন/পিআর