২২ বছরের টগবগে যুবক সাজিদ হোসেন। পড়ালেখা করেন ফাযিল (বিএ) শ্রেণিতে। জাতীয় কোনো দিবস ঘনিয়ে এলেই শিক্ষার্থী সাজিদ বনে যান পতাকা বিক্রেতা!
এখন পতাকা হাতে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম চষে বেড়াচ্ছেন সাজিদ। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বিক্রি করছেন লাল-সবুজের পতাকা।
বছরজুড়ে অল্প আয়ে চলে সাজিদের পরিবার। তবে জাতীয় দিবসে কিছুটা হলেও খুশি থাকে তাঁর ছয় সদস্যের পরিবারে। পতাকা বিক্রির কিছু টাকা যে সাজিদ ব্যয় করেন সংসারে!
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ৩নং দিগনগর ইউনিয়নের তমালতলা গ্রামের মো. বাবুল আলীর ছেলে সাজিদ। পড়ালেখা করেন স্থানীয় কাঁচেরকোল ইসলামিয়া ফাযিল (স্নাতক) মাদরাসায়।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সামনে কথা হয় সাজিদের সঙ্গে।
সাজিদ জানান, পতাকা বিক্রি করতে তারা কয়েকজন দল বেধে চলে এসেছেন বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। এরপর তারা বিভিন্ন স্থানে পতাকা বিক্রি করতে চলে যান। কেউ শহরে, আবার কেউ শহরের পাশের উপজেলায়। তবে রাতে কিন্তু তারা সবাই একত্রিত হন। সবাই রাত্রিযাপন করেন নগরের ষোলশহর এলাকার একটি হোটেলে।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গ্রামে গ্রামে পতাকা ফেরি করে বেড়ান সাজিদ। তাঁর কাছে থাকা বড় পতাকার দাম ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, মাঝারি পতাকা ৬০-৭০ টাকা, ছোট পতাকা ২৫-৩০ টাকা এবং হাত পতাকা ১৫ থেকে ২০ টাকা।
পতাকা বিক্রির কাজটাকে কেন বেছে নিলেনে জিজ্ঞেস করলে সাজিদ জয়নিউজকে বলেন, রক্ত দিয়ে অর্জিত হয়েছে লাল-সবুজের পতাকা। এ পতাকা পেতে অসংখ্য বাঙালিকে দিতে হয়েছে বুকের তাজা রক্ত। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়েই পতাকা বিক্রি করি। এতে আমি খুব আনন্দ পাই। কারণ লাল-সবুজের এ পতাকা আমাদের গর্ব।