বমি করে বাসযাত্রীর সব লুটে নেয় এরা

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একটি ভয়ংকর চক্র। যার নাম বমি পার্টি। তারা এলাকা ঘুরে ঘুরে বাস যাত্রীকে টার্গেট করে তার পিছু নেয়।

- Advertisement -

টার্গেটকৃত ব্যক্তি যদি বাসে ওঠে, তারাও সংঘবদ্ধ হয়ে ওই বাসেই উঠে পড়ে। বাস কিছুদূর চলার পর চক্রটির কোন এক সদস্য টার্গেটকৃত ব্যক্তির গায়ের উপরে আচমকাই বমি করতে শুরু করে।

- Advertisement -google news follower

এসময় চক্রটির অন্যরা টিস্যু দিয়ে উক্ত বমি পরিষ্কার করতে করতে টার্গেট করা ব্যক্তির কাছ থেকে কৌশলে টাকা পয়সাসহ দামি সকল মালামাল হাতিয়ে বাস থেকে নেমে পড়ে।

তেমনি একটি ঘটনার শিকার হয়েছেন সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। বন্দর থানা এলাকায় ১০নম্বর রুটের বাসে ঘটে ঘটনাটি। মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।

- Advertisement -islamibank

অভিযোগের সূত্র ধরে তদন্তে নেমে পুলিশ চক্রটির কয়েকজন সদস্যের সন্ধান পায়। শুরু করে অভিযান। অবশেষে বমি পার্টির সক্রিয় দুই সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে প্রথমে বমি পার্টির সক্রিয় কয়েকজন সদস্যের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়।

পরে বুধবার রাতে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানা এলাকা থেকে বমি পার্টি চক্রের সদস্য মো. সাহাব উদ্দিনকে (৪০) এবং ঢাকার কাফরুল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপর সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন সোহাগকে (৩৯) গ্রেফতার করে টিম বন্দর।

থানা সূত্রে ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ৬ মে দুপুরে বমি পার্টির এই সদস্যরা বন্দর থানা এলাকায় ১০নং সিটি বাসের ভেতর জনৈক সাইফুল ইসলামের মাথায় বমি করে।

পরে তারা কৌশলে এই ভুক্তভোগীর পরনে থাকা প্যান্ট ও হাতে থাকা ব্যাগ থেকে নগদ ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে চম্পট দেয়। এই বিষয়ে গত ৮ মে ভুক্তভোগী সাইফুল বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগীর এই মামলার পর বন্দর থানার অফিসার নিয়ে একটি চৌকস টিম গঠন করা হয়। তারা ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ ও তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে আসামিদের শনাক্ত করে। পরে নোয়াখালী ও ঢাকা থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ২ জনকে আটক করা হয়েছে।

তবে ওই বাসযাত্রীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া সব টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ৯ লাখ টাকার মধ্যে মাত্র ১৫ হাজার ২শ’ টাকা উদ্ধার হয়েছে।

বাকি টাকা উদ্ধার ও একই ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে জানালেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা।

তিনি বলেন, গ্রেফতার দুজনের বিরুদ্ধে সিএমপি ও ডিএমপিসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। দুজনকে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM