মরিচেও আগুন

মুরগির বাজারের উত্তাপে ঘাম ছুটছে ক্রেতার

বিশেষ প্রতিবেদন :ডেস্ক

নিত্যপণ্যের বাজারে গিয়ে কোন পণ্যেই হাত দেওয়ার সুযোগ নেই নিম্নবিত্ত ক্রেতাদের। সরকারের শত চেষ্টাতেও দামে আগুন নিভেনি এখনো।

- Advertisement -

চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে নজীরবিহীনভাবে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় সবজির দামও উর্ধ্বমুখি।

- Advertisement -google news follower

তীব্র তাপদাহের মধ্যেই সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারগুলোতে মুরগির বাজারেও দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। বাজারে মুরগির দামে উত্তাপে ঘাম ছুটে যাচ্ছে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদেরও। এসপ্তাহের বাজারে চড়া দরেই কিনতে হচ্ছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি।

অন্যদিকে দামে লাগামহীন আলুর বাজার। কমেনি মরিচের ঝাল। এ ছাড়া চাল, আটা, তেল, চিনির মতো নিত্যপণ্যের বাজার আগে থেকে বেড়ে যাওয়া উচ্চমূল্যে স্থির হয়ে আছে।

- Advertisement -islamibank

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ও আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এ সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২১০ থেকে ২২৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে সোনালি জাতের মুরগিও। কেজি ৩৫০ টাকার নিচে কোথাও বিক্রি করতে দেখা যায়নি।

ফলে দাম শুনে বড় একটি নিঃশ্বাস ফেলে স্থান ত্যাগ করছে নিম্নবিত্তরা। ইচ্ছে না থাকা সত্বেও প্রয়োজনে মুখ কালো করেই এ মুরগি কিনে বাড়ি ফিরছে মধ্যবিত্তরা।

মুরগির দর বাড়ার প্রভাব দেখা গেছে ডিমের বাজারে। বড় বাজারে ফার্মের বাদামি রঙের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়।

তবে পাড়া-মহল্লায় ও এলাকাভিত্তিক ছোট বাজারগুলো থেকে এক হালি কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা। এ ছাড়া খুচরা ব্যবসায়ীরা ফার্মের সাদা রঙের ডিমের ডজন বিক্রি করছেন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।

ভোক্তাদের অভিযোগ, বাজারে তদারকি নেই। তাই যে যার মতো জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছেন। যদিও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর বলছে, তদারকি অব্যাহত রয়েছে। বেশ কয়েকটি বাজারে সাম্প্রতিককালে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানাও করা হয়েছে। তবুও এর কোন সুফল দেখছে না সাধারণ ক্রেতারা।

মুরগির দাম বাড়ার জন্য ব্যবসায়ীরা সাম্প্রতিক তীব্র তাপমাত্রায় মুরগি মরে যাওয়া, উৎপাদন কমে যাওয়াকে দায়ী করেছেন।

সুখবর নেই গরুর মাংসপ্রেমীদের জন্যও। প্রতি কেজি কিনতে গেলে ক্রেতাকে খরচ করতে হবে ৭৫০ থেকে ৮শ টাকা। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০৭০ থেকে ১১০০ টাকা।

আলুর দরও দেখা গেছে অস্বাভাবিক। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে। তবে কিছু কিছু পাইকারি দোকানে ৫০ বা ৫২ টাকা দরে আলু কেনা যাচ্ছে।

তরিতরকারির বাজার ঘরে দেখা যায় সব ধরনের সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। দামে সবচেয়ে বেশে আগুন লেগেছে কাঁচামরিচে। ঝাঁজ কমেনি, উল্টো বেড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২শ টাকার আশপাশে।

তাছাড়া বাজারগুলোতে কচুরমুখী ১০০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৯০-১০০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, বরবটি ৯০ টাকায়, শসা ৬০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, ঝিঙা ০ টাকা, সাজনা ১৬০ টাকা এবং কাঁচা আম প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে প্রতি কেজি শিম ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং গাজর ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনে পাতা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

এছাড়া বাজারগুলোতে লাউ শাক ৩০ টাকা আঁটি, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারগুলোতে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ দেখা যায়নি। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে। আদা-রসুনের বাজার কয়েকদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। দেশি রসুন ২০০ থেকে ২২০ এবং চায়না রসুনের কেজি ২২০ থেকে ২৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে আদার কেজি কেনা যাচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।

মসলার মধ্যে জিরার দাম মাঝে কিছুটা কমলেও আবারও বাড়ছে। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে।

জেএন/রাজীব প্রিন্স

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM