বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি উপকূলের দিকে আরও এগিয়ে এসেছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫শ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে।
শনিবার বিকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রামসহ দেশের চার সমুদ্রবন্দরের জন্য তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে নির্দেশনা দেওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঘোষণার পরপরই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অ্যালার্ট-১ জারি করেছে। তাছাড়া লাইটার জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেটি থেকে জাহাজগুলো সাগরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, বন্দরে নিজস্ব অ্যালার্ট-১ জারি করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে বন্দর জেটি এবং বহির্নোঙরে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় থেকে চট্টগ্রাম বন্দরকে রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি চলমান আছে। আবহাওয়া অফিসের নির্দেশনা মেনে নিজস্ব অ্যালার্ট জারি করবো।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, আবহাওয়া অফিস ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করলে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অ্যালার্ট-২ জারি করে। এছাড়া ৫ নম্বর থেকে ৭ নম্বর পর্যন্ত বিপদ সংকেত জারি করলে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করে।
মহাবিপদ সংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করে। তখন বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখে।
এর আগে শনিবার (২৫ মে) দুপুর ২টায় বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫শ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
জেএন/পিআর