তেলের প্লাস্টিকের কৌটার উপর লাগানো স্টিকার ছিল বেশ রঙচঙে। কৌটার ওই স্টিকার দেখে মনে হবে এটি স্বনামধন্য কোনো কোম্পানির সয়াবিন তেল। স্টিকারে আছে বিএসটিআই-এর লোগো। ভিটামিন এ আছে সেই কথাও লেখা আছে। তবে আসল নয়, পুরোটাই ভেজাল তেল (পামঅয়েল)।
আসলের আদলে ‘নুর’ও ‘সানরাইজ’নামে ব্যবহার করা হয় ভেজাল ভোজ্য সয়াবিন তেল। কোনো মিল বা কারখানায় নয়, এটি চলে ঘরে বসেই!
এমনই এক ভেজাল ভোজ্য সয়াবিন তেল তৈরির স্থানের সন্ধান মিলেছে হাটহাজারী উপজেলাধীন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাধুর পাহাড়ের পশ্চিমে।
শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমীন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ, হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাবিব।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বিএসটিআই’র লাইসেন্স ছাড়া তৈরি করা এসব ভেজাল ভোজ্য সয়াবিন তেল তৈরির প্লাস্টিক কৌটা, স্টিকার, মেশিনসহ নানা সামগ্রী জব্দ করেন।
এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখে ওই কারখানার মালিক ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালত মো. সেলিম হাওলাদার (৪২) নামে ওই কারখানার এক কর্মকর্তা আটক করে। আটক সেলিমের কাছে পাওয়া একটি ভিজিটিং কার্ডে ওই কারখানার নাম লেখা আছে ‘ওলি অন অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ’।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও রুহুল আমীন জয়নিউজকে বলেন, এটা নিঃসন্দেহে প্রতারণা। পামওয়েল সয়াবিন বলে বিক্রি করা হচ্ছে। বিএসটিআই’র লাইসেন্স ছাড়াই লোগো ব্যবহার হচ্ছে। পানি ফিল্টারের মেশিনে তেল পরিশোধন করা, ভিটামিন এ সমৃদ্ধ না করেও কৌটার উপর স্টিাকারে লিখে রাখা আইনের লংঘন।