ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে উঠায় চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরের পণ্য খালাস কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
তবে বন্দরের অভ্যন্তরে শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত স্বাভাবিক কার্যক্রম চলেছে। রাত ৯টায় ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণার পর চট্টগ্রাম বন্দরে এ অ্যালার্ট-৩ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে পরবর্তী জোয়ারে জেটির সব জাহাজ বের করে দেয়া হবে।
ইকুইপমেন্টগুলোকে এক স্থানে জড়ো করে নিরাপদে রাখা হচ্ছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ রাতেই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক আহবান করে জরুরি কন্ট্রোল রুম চালু করেছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া আছে বলেও বন্দরের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আবহাওয়ার সতর্ক সংকেতের সাথে আমরা আমাদের এ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়ন করছি। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ তিনি বলেন, বন্দরে এলার্ট থ্রি ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী জোয়ারে সব জাহাজ বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, রাতে আর জোয়ার না থাকায় ভোরের জোয়ারে সব জাহাজ বাইরে চলে যাবে। তিনি ইকুইপমেন্টসহ যেখানে যেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার সেগুলো করা হচ্ছে বলেও জানান। রাতেই বন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক থেকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার প্রয়োজনীয় সব করনীয় নির্ধারণ করে।
বহির্নোঙরে অবস্থানকারী জাহাজগুলোকে নিরাপদে থাকা এবং বন্দরের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুসরণেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জেএন/এমআর