চোখের জলে জামালখান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুল আলমকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) বাদ জুমা লালদীঘি ময়দানে মরহুমের জানাযায় জনতার ঢল নামে। নগর আওয়ামী লীগসহ সর্বস্তরের মানুষ জড়ো হয় তাদের প্রিয়, সদা হাস্যোজ্জ্বল মোরশেদকে চিরবিদায় জানাতে।
এ সময় সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মেয়র বলেন, মোরশেদ সবসময় দলের প্রতি অনুগত ছিলেন। মারা যাওয়ার আগে তাঁর সঙ্গে আমার শেষ কথা ছিল- পরের দিন দেশে এসে বিকেলে দেখা করবেন। মোরশেদ দেশে এসেছেন ঠিকই, দেখাও হয়েছে। এই দেখাতো আমরা চাইনি।
আবেগাপ্লুত মেয়র আরো বলেন, মোরশেদ জাতির জনকের সোনার বাংলা, জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার এক নিরলস কর্মী ছিলেন। দলের জন্য তাঁর অবদান কখনো ভোলার নয়। আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের উচ্চ আসন দান করেন।
জানাযা শেষে কদম মোবারক জামে মসজিদ কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা পর্যন্ত মেয়র লাশের পাশে ছিলেন।
এর আগে চীন থেকে ঢাকা হয়ে আসা লাশ মোরশেদের বাসায় নেওয়া হয়। মেয়র বাসায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।
জানাযায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, জয়নিউজ সম্পাদক অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, নোমান আল মাহমুদ, শ্রমিক নেতা সফর আলী, মো. ঈসা, মিরসরাই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, নগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান ও দিদারুল আলম, নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, পানেল মেয়র হাসান মাহমুদ চৌধুরী হাসনী, কাউন্সিলর শৈবাল দাস সুমন, মো. জাবেদ, হাসান মুরাদ বিপ্লব, জোবাইর হোসেন, জহর লাল হাজারী, তারেক সোলায়মান সেলিম, এইচ এম সোহেল, সফিউল আলম, কফিল উদ্দিন ও এম গিয়াস উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।
উল্লেখ্য, মোরশেদ আলম ৩০ নভেম্বর চিনের সাংহাইতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।