ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনা তদন্ত করতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল কলকাতা গেছেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে কলকাতা গেছেন তিন সদস্যের একটি দল। তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, ওয়ারী বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও এডিসি শাহীদুর রহমান।
আজ (রোববার) সকাল ১০টায় ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন প্রতিনিধিদলটি। বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় তারা কলকাতায় পৌঁছান বলে জানা গেছে।
বিমানবন্দরে ডিবিপ্রধান বলেন, শাহীন এই হত্যার মাস্টারমাইন্ড বলে নিশ্চিত হয়েছে কলকাতা ও ঢাকার গোয়েন্দারা। বাংলাদেশের তদন্ত দল কলকাতায় প্রথমে ঘটনাস্থলে যাবে। এরপর ভারতে গ্রেপ্তার জিহাদ হাওলাদারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কলকাতায় যাচ্ছি। আমরা ভারতে গিয়ে সেখানকার পুলিশের সহযোগিতা চাইবো মামলার তদন্ত কাজের জন্য। তারা আমাদেরকে অনেক সাহায্য করছে।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ডিবিপ্রধান বলেন, এই বিষয়ে ভারতীয় পুলিশ বিশেষ করে কলকাতার পুলিশ কাজ করছে। সেখানে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। তাকে নিয়ে তারা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছে মরদেহ উদ্ধারের জন্য। আমরা আশা করি সম্পূর্ণ মরদেহ উদ্ধার করা না গেলেও মরদেহের খণ্ডবিশেষ উদ্ধার করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, হত্যার মাস্টারমাইন্ড শাহিনকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সে একজন বড় রকমের অপরাধী। আমরা আমাদের পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে আবেদন করেছি। শাহিনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি তার ভারতীয় ঘনিষ্ঠ বন্ধু পশ্চিমবঙ্গের উত্তর২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার অন্তর্গত ১৭/৩ মণ্ডলপাড়া লেনের বাসিন্দা স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। পরদিন ১৩ মে দুপুরে চিকিৎসক দেখানোর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। কিন্তু সন্ধ্যায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। এরপর গত ২২ মে কলকাতার নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে তার খুন হওয়ার বিষয়টি জানায় ভারতীয় পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিমুল ভূইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূইয়া ওরফে আমানুল্যা সাইদ, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশ পুলিশ। শুক্রবার (২৪ মে) তাদের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
জেএন/এমআর