ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন ৮১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
মঙ্গলবার (২৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার পর থেকে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়ে ৩৬ হাজার ৫০ জনে। আর আহত ফিলিস্তিনের সংখ্যা ৮১ হাজার ২৬ জন। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী রাফার তাল আস-সুলতান, সৌদি, তাল জারুব এবং আল-হাশাশিন এলাকায় লক্ষ্যবস্তু করে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে।
তারা রাফাহতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের একটি তাঁবু ক্যাম্পে বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আগে জানিয়েছে যে তারা হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলের শীর্ষ সামরিক প্রসিকিউটর রাফাহ হামলাকে ‘খুব গুরুতর’ বলে বর্ণনা করেছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে এই দশকের সবচেয়ে বড় হামলা চালায় হামাস। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েল।
সাড়ে আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকরই বেশি নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ৮১ হাজারের বেশি।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এই গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানালেও ইসরায়েল এসবে তোয়াক্কা না করে হামলা চালিয়েই যাচ্ছে।
হামলার শুরুর পর ইসরায়েলি ঘোষণার প্রেক্ষিতে রাফাহ এলাকায় অবস্থান নিয়েছিল কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি। পরে ইসরায়েল সেখানেও অভিযান চালানোর ঘোষণা দিলে ফিলিস্তিনিরা রাফা ছেড়ে সরে অন্যত্র যান।
মূলত চলতি মাসের শুরুতে রাফা সীমান্তের ফিলিস্তিনি অংশ দখলে নেয় ইসরায়েল। এরপর থেকে তারা সীমান্ত ক্রসিংটি বন্ধ করে দেয়। এতে অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে মানবিক খারাপ ভয়াবহ আকার ধারণ করে। শুধু রাফায় নয়, গাজা উপত্যকাজুড়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর বিপর্যয় নেমে এসেছে।