সর্বজনীন পেনশন স্কিমে দেশের প্রথম জেলা হিসেবে ৫০ হাজার রেজিস্ট্রেশনের মাইলফলক অতিক্রম করেছে চট্টগ্রাম জেলা।
২৭ মে’র সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সমগ্র দেশে এখন পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে রেজিস্ট্রেশন করেছে প্রায় দুই লাখ বায়ান্ন হাজার গ্রাহক, যার প্রায় ২০ শতাংশই চট্টগ্রাম জেলা থেকে।
চট্টগ্রামের এই অগ্রগণ্য যাত্রা নিয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনবদ্য উদ্যোগ সর্বজনীন পেনশন স্কিম, যা বৃদ্ধ বয়সে সকলের অবলম্বন হিসেবে বিবেচিত হবে। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অন্যতম প্রবাসী অধ্যুষিত জেলা হওয়ায় এখানকার মানুষ এ ধরণের স্কিমে অংশগ্রহণ করতে ব্যাপক আগ্রহী। আগামী জুলাই মাসের মধ্যে ১ লক্ষ রেজিস্ট্রেশনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানান, গতকাল ২৭ মে রাত ১০টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ৫০ হাজার ৬৮৮ টি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে রাউজান উপজেলায় ৮ হাজার ৬৪৭ টি, সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৫ হাজার ৬২০ টি, বাঁশখালী উপজেলায় ৪ হাজার ৬০২ টি, কর্ণফুলী উপজেলায় ৩ হাজার ২৩৩ টি ও চন্দনাইশ উপজেলায় ৩ হাজার ২১৪ টি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের আহবানে সাড়া দিয়ে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেএসআরএম গ্রুপ সর্বপ্রথম তাদের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন স্কিমে সংযুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসক চলমান কার্যক্রমের ধারা সমান গতিতে বজায় রাখতে সচেষ্ট।
ডিসি বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের মত উদ্যোগের সাফল্য সম্ভাবনা বিপুল। ৫০ হাজার মাইলফলক অর্জন সেই পথকে আরো সুগম করেছে। আশা করি, জেলা প্রশাসনের চেষ্টায় ও জনগণের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণে আমরা সবর্জনীন পেনশন স্কিমের রেজিস্ট্রেশনে আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবো।
উল্লেখ্য, দেশের জনগণের গড় আয়ু বৃদ্ধির কারণে ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সমাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতাভুক্ত করার লক্ষ্যে ও ভবিষ্যতে কর্মক্ষম জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে নির্ভশীলতার হার বৃদ্ধি পাবে বিবেচনায় নিয়ে মহান জাতীয় সংসদ কর্তৃক “সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩” পাশ হয় এবং গত ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ মহামান্য রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভের পর আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
জেএন/এমআর