সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম জেলা পর্যায়েও সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৪।
আজ ১ জুন শনিবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলার কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে দিয়ে জেলা পর্যায়ের জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।
কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস.এম নাওশেদ রিয়াদের সভাপতিত্বে ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্তাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুমা জান্নাত, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সোমা চৌধুরী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল অফিসার উত্তম বড়ুয়া ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র কর্ণফুলী এপি’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার খ্রীষ্টফার কুইয়া।
অনুষ্ঠানে হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনী) ডা. নাজনীন সুলতানা, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহানা তারান্নুমসহ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, সরকারের সকল মন্ত্রনালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনামতে আমরা এ ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন করব। ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, শিশুর জন্মের সাথে সাথে মায়ের বুকের দুধ ছাড়া আর কিছুই দেয়া যাবে না। শিশুর বয়স ৬ মাস পুর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মত ঘরে তৈরী সুষম খারার দিতে হবে। একটি শিশুকে দুই বছর পর্যন্ত মায়ের দুধের পাশাপাশি পুষ্টিযুক্ত তরল খাবার দিলে ঐ শিশু সুস্থ থাকবে। গর্ভবতী মা’কে পুষ্টিযুক্ত খাবার দিলে শিশুও পুষ্টিবান হবে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে।
তিনি বলেন, কোন শিশু যাতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাসসুল খাওয়া থেকে বাদ না পড়ে সে লক্ষ্যে বিভাগের প্রত্যেক জেলা, মহানগর, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জনগণকে জানান দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মসজিদ, হাটবাজার, বাস স্ট্যান্ড, নৌ-ঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণস্থানেও ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। সরকারী প্রতিষ্টান, জনপ্রতিনিধি, আনসার-ভিডিপি ও এনজিও সংস্থাগুলো ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের যে কোন ধরণের অপপ্রচার ও গুজব রোধে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বিশেষ টিমগুলো ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন মনিটরিং করছেন। মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমেও এ কার্যক্রম মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
জেএন/এমআর