সোমবার আদালতে মামলা করবে ভুক্তভোগী

চকবাজারে ব্যাংকের লকার থেকে ১৪৯ ভরি সোনা গায়েব

অনলাইন ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রামের চকবাজার শাখার লকার থেকে ১৪৯ ভরি স্বর্ণ গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। গত ২৯ মে সোনার মালিক রোকেয়া বারী লকার খুলে চুরির বিষয়টি বুঝতে পারলেও ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে আজ শনিবার।

- Advertisement -

চকবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হলেও থানায় কোন সাধারণ ডায়েরি এন্ট্রি করা হয়নি। এমন অভিযোগ এনে আগামী সোমবার (৩ জুন) চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভিকটিম।

- Advertisement -google news follower

চট্টেশরী রোডের বিটিআই বেভারলী হিলসের বাসিন্দা ভুক্তভোগী রোকেয়া বারীর দাবি, এসব সোনা ব্যাংকের কর্মকর্তা, কর্মচারীরাই সরিয়ে ফেলেছেন।

তিনি জানান, গত ১৬ থেকে ১৭ বছর ধরে চকবাজারের ইসলামী ব্যাংকে শাখায় তার নামে অ্যাকাউন্ট আছে। শুরু থেকে তিনি ওই ব্যাংকের একটি লকার ব্যবহার করে আসছেন।

- Advertisement -islamibank

তিনি সবশেষ তথ্যমতে মোট ১৬০ ভরির মতো স্বর্ণ জমা রেখেছিলেন। সেখান থেকে ৬০ ভরি ওজনের ৪০ পিস বড় সাইজের হাতের চুরি, ২৫ ভরি ওজনের গলা ও কানের ৪টি জড়োয়া সেট, ১০ ভরি ওজনের একটি গলার সেট, ২৮ ভরি ওজনের ৭টি গলার চেইন, ১৫ ভরি ওজনের ৪টি আংটি এবং ১১ ভরি ওজনের ৩০ জোড়া কানের দুলসহ ১৪৯ ভরি স্বর্ণ গায়েব হয়ে যায়।

ভুক্তভোগী জানান, গত বুধবার (২৯ মে) দুপুর দেড়টার সময় লকার থেকে কিছু স্বর্ণ নেওয়ার উদ্দ্যেশে লকারের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানায়।

তিনি তার চাবি দিয়ে লকার রুমের দরজা খুলে দিতেই আমার লকারটি খোলা পাই। পরে বিষয়টি দ্রুত চকবাজার থানার ওসিকে অবহিত করলে তিনি টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখেন লকারে মাত্র ১০-১১ ভরি সোনা অবশিষ্ট রয়েছে। ১৪৯ ভরি স্বর্ণ চুরি হয়। তিনি ধারণা করছেন ব্যাংকের লোকজনই এ ঘটনার সাথে জড়িত।

বর্তমান বাজারে ১ লাখ ১৭ হাজার ১৭৭ টাকা সোনার ভরি। সে হিসেবে গায়েব হওয়া ১৪৯ ভরি সোনার মূল্য দাড়ায় ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭৩ টাকা।

ব্যাংকের লকার থেকে সোনা গায়েবের বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ম্যানেজার শফিকুল মওলার মুঠোফোনে জানায়, ঘটনাটি সত্যি। তবে ফোনে বিস্তারিত বলা যাবে না। তিনি অফিস টাইমে ব্যাংকে যেতে বলেন, সেখানে বিস্তারিত জানাবেন।

এদিকে ভুক্তভোগীর ছেলে রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুক গণমাধ্যমকে জানায়, এ ঘটনায় চকবাজার থানার একটি সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে জিডি লিপিবদ্ধ করেননি। মামলা করার পরামর্শ দেন ওসি। আগামী সোমবার চট্টগ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বললেন মারজুক।

এই বিষয়ে জানতে চকবাজার থানার ওসি ওয়ালী উদ্দিন আকবরের অফিসিয়াল নম্বরে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এর আগেও বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। গত ২৩ মে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সুজন রহমান গ্রাহকদের ১ কোটি ২০ লাখ টাকা নিয়ে রাতারাতি পালিয়ে গেছেন। এ খবরের রেশ না কাটতেই একই ব্যাংক চট্টগ্রামের চকবাজার শাখার লকার থেকে ১৪৯ ভরি সোনা গায়েবের ঘটনায় নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

জেএন/পিআর/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM