১৫ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড/তিনজনের মৃত্যু

দেশজুড়ে ডেস্ক :

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ১৫ মিনিটের ঝড়ে উপজেলার দুই ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

- Advertisement -

এর মধ্যে ঝড়ে দুই নারী ও বৃষ্টিতে জমে থাকা পানিতে ডুবে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। এছাড়াও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক পরিবার। শনিবার (১ জুন) ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

- Advertisement -google news follower

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার।

ঝড়ের ঘটনায় নিহতরা হলেন- উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের শালডাঙ্গা গ্রামের পইনুল ইসলামের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), একই গ্রামের দবিরুল ইসলামের স্ত্রী জাহেদা বেগম (৫০) এবং একই উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের লালাপুর নয়াপাড়া গ্রামের নাজমুল ইসলামের আড়াই বছরের ছেলে নাঈম।

- Advertisement -islamibank

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলকা ঘুরে দেখা যায়, পাড়িয়া ইউনিয়নের তিলকড়া, শালডাঙ্গা, বঙ্গভিটা, লোহাড়া, বামুনিয়াসহ ১২টি গ্রাম, বড়বাড়ি ইউনিয়নের বেলহাড়া, বেলবাড়ী, বটের হাট, হরিপুরসহ আটটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশির ভাগ কাঁচা বাড়ির টিনের চালা উড়ে গেছে। গাছ ভেঙে পড়েছে ঘরের ওপর।

বড়বাড়ী ইউনিয়নের আধারদীঘি বাজারে পাঁচটি দোকান ও দুটি হোটেলে গাছ ভেঙে পড়েছে। ঘরের টিন নষ্টসহ সার, কীটনাশক ও সিমেন্ট ব্যবসায়ীদের ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ঘড়ে গৃহবধূ ফরিদা বেগমের মৃত্যু নিয়ে কথা হলে তার স্বামী পইনুল ইসলাম বলেন, সকালে ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে মসজিদে থাকা অবস্থায় ঝড় শুরু হয়। বাড়িতে ছুটে এসে স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে ডাকাডাকি শুরু করি।

পরে ঝড়ে উড়ে এসে বারান্দায় পড়া টিন ও ছাউনি সরিয়ে দেখি নিচে চাপা পড়ে আছে স্ত্রী। তাকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জাহেদার মৃত্যুর ব্যাপারে পাড়িয়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের দফাদার আজিজুর রহমান জানান, ঝড়ের সময় বারান্দায় বসে ছিলেন দবিরুল ইসলামের স্ত্রী জাহেদা। মেঘের গর্জন আর ঝড় দেখে বারান্দায়ই মারা যান তিনি।

ঝড়ের সময় ভয়ে তিনি স্ট্রোক করেছেন বলে ধারণা করছেন তারা জাহেদর স্বামী দবিরুল।

লালাপুর নয়াপাড়া গ্রামের নাজমুল ইসলাম জানান, বাড়ির পাশে গর্তে বৃষ্টির পানি জমে ছিল। খেলতে গিয়ে শিশুটি পড়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজনের নজরে এলে তাকে উদ্ধার করে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান এবং আমাদের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে কাজ করছে।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM