ব্যাংকের লকার থেকে স্বর্ণ গায়েব: তদন্ত কমিটি গঠন

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার লকার থেকে এক গ্রাহকের ১৪৯ ভরি স্বর্ণালংকার গায়েবের অভিযোগ তোলার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি করেছে।

- Advertisement -

রবিবার দুপুরে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ম্যানেজার শফিকুল মাওলা।

- Advertisement -google news follower

তিনি বলেন, ‘গ্রাহকের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে আসলে গ্রাহক মিথ্যে বলছেন কিনা।’

তিনি আরও বলেন, এখানে চুরি ডাকাতির কোনো সম্ভাবনা নেই। লকারের মালিক প্রথমে বলেন,৩০০ ভরি স্বর্ণ রেখেছি, সেখান থেকে ১৫০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে গেছি।

- Advertisement -islamibank

শাখা ম্যানেজারের ভাষ্যমতে লকারের মালিকের অসংলগ্ন কথা বার্তায় তারা কিছু বুঝতে পারছেন না। আসল সত্য কী তদন্ত কমিটি তদন্তের মাধ্যমে বের করে নিয়ে আসবে।

গত ২৯ মে সোনার মালিক রোকেয়া বারী লকার খুলে চুরির বিষয়টি বুঝতে পারলেও ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে গতকাল শনিবার।

চকবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হলেও থানায় কোন সাধারণ ডায়েরি এন্ট্রি করা হয়নি। এমন অভিযোগ এনে আগামী সোমবার (৩ জুন) চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভিকটিম।

চট্টেশরী রোডের বিটিআই বেভারলী হিলসের বাসিন্দা ভুক্তভোগী রোকেয়া বারীর দাবি, এসব সোনা ব্যাংকের কর্মকর্তা, কর্মচারীরাই সরিয়ে ফেলেছেন।

তিনি জানান, গত ১৬ থেকে ১৭ বছর ধরে চকবাজারের ইসলামী ব্যাংকে শাখায় তার নামে অ্যাকাউন্ট আছে। শুরু থেকে তিনি ওই ব্যাংকের একটি লকার ব্যবহার করে আসছেন।

তিনি সবশেষ তথ্যমতে মোট ১৬০ ভরির মতো স্বর্ণ জমা রেখেছিলেন। সেখান থেকে ৬০ ভরি ওজনের ৪০ পিস বড় সাইজের হাতের চুরি, ২৫ ভরি ওজনের গলা ও কানের ৪টি জড়োয়া সেট, ১০ ভরি ওজনের একটি গলার সেট, ২৮ ভরি ওজনের ৭টি গলার চেইন, ১৫ ভরি ওজনের ৪টি আংটি এবং ১১ ভরি ওজনের ৩০ জোড়া কানের দুলসহ ১৪৯ ভরি স্বর্ণ গায়েব হয়ে যায়।

ভুক্তভোগী জানান, গত বুধবার (২৯ মে) দুপুর দেড়টার সময় লকার থেকে কিছু স্বর্ণ নেওয়ার উদ্দ্যেশে লকারের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানায়।

তিনি তার চাবি দিয়ে লকার রুমের দরজা খুলে দিতেই আমার লকারটি খোলা পাই। পরে বিষয়টি দ্রুত চকবাজার থানার ওসিকে অবহিত করলে তিনি টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখেন লকারে মাত্র ১০-১১ ভরি সোনা অবশিষ্ট রয়েছে। ১৪৯ ভরি স্বর্ণ চুরি হয়। তিনি ধারণা করছেন ব্যাংকের লোকজনই এ ঘটনার সাথে জড়িত।

বর্তমান বাজারে ১ লাখ ১৭ হাজার ১৭৭ টাকা সোনার ভরি। সে হিসেবে গায়েব হওয়া ১৪৯ ভরি সোনার মূল্য দাড়ায় ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭৩ টাকা।

এ বিষয়ে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উদ্দিন আকবর জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লকার রুমে কোনো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা নেই। ঘটনাটির গুরুত্বের কারণে ভুক্তভোগীকে তিনি ফৌজদারি মামলা দায়েরের পরামর্শ দিয়েছেন।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM