সাড়ে চার মাস আগে উদ্বোধন হলেও এখনও মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ে যান চলাচলের জন্য দুয়ার খোলেনি। এ মাসে খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ)।
লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৫৪ ফুট প্রস্থের প্রকল্পের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করা হয় ১৪ নভেম্বর।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী-সিডিএ ফ্লাইওভার’ নামে চট্টগ্রামে প্রথম এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন।
বর্তমানে লাইট লাগানো, সিসি ক্যামেরা বসানো, নিরাপত্তা বলয় ঠিক করাসহ সকল প্রকার প্রস্তুতি প্রায় শেষ দিকে। এসব কাজ শেষ হলে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হতে পারে।
তবে আসন্ন ঈদুল আযহার আগেই চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল শুরু হতে পারে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। চার হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে এমাসে।
জানা গেছে, সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি। ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়।
প্রথমে তিন হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ হয়েছিল। পরে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। এ ছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, মাত্র দায়িত্ব নিয়েছি। অনেক কাজ করতে হবে। চট্টগ্রামের এমন প্রকল্প হবে সবমিলে যোগাযোগ ব্যবস্থাটা দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব বাড়বে। বিকশিত হবে পর্যটন খাত। বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে যোগাযোগ ব্যবস্থায়। যানজট মুক্ত হবে বিমানযাত্রীদের যাতায়াত পথ।
এই এক্সপ্রেসওয়েসহ চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুতগতিতে শেষ হয় সেজন্য কাজও করা হচ্ছে। তবে এই প্রকল্পসহ বিভিন্নভাবে চট্টগ্রামে যোগাযোগব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়ে যাবে।
জেএন/হিমেল/পিআর