ঐতিহাসিক জয়ের পর মেক্সিকোর ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ক্লদিয়া শিনবাউম। রবিবার (২ জুন) বিপুল ভোটে জয় পেয়ে দলকে নতুন মেয়াদে ক্ষমতায় রাখছেন তিনি। মেক্সিকোর সরকারি নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, প্রাথমিক ফলাফলে ৫৮% থেকে ৬০% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন মেক্সিকো সিটির সাবেক এই মেয়র।
৬১ বছর বয়সী শিনবাউম শুরু থেকেই বামপন্থী রাজনীতি করেছেন। দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদরকে গুরু মানেন তিনি। ক্লদিয়া শিনবাউম বিজ্ঞানের মানুষ। জ্বালানি প্রকৌশলে (এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং) তার পিএইচডি ডিগ্রি আছে। তিনি জলবায়ুবিজ্ঞানী।
ক্লদিয়া শিনবাউম পারডো মেক্সিকো সিটিতে একটি ধর্মনিরপেক্ষ ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা-মা উভয়েই বিজ্ঞানী। তার মা অ্যানি পারডো সেমো একজন জীববিজ্ঞানী এবং মেক্সিকো ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান অনুষদের ইমেরিটাস অধ্যাপক। তার বাবা কার্লোস শিনবাউম ইয়োসেলেভিটজ একজন রাসায়নিক প্রকৌশলী ছিলেন। তার ভাই জুলিও একজন পদার্থবিদ। ২০২৩ সালে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সঙ্গে এক আলাপচারিতায় শেনবাউম বলেন, ‘আমি বিজ্ঞানে বিশ্বাসী।’
আগামী ১ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসবেন ক্লদিয়া শিনবাউম। এর পরপরই তিনি যেসব বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে মেক্সিকোয় চলমান সহিংসতা। নির্বাচনী এক প্রচারণায় শেনবাউম বলেছিলেন, দেশে অপরাধ দমনে প্রেসিডেন্ট ওব্রাদর যে নিরাপত্তা বাহিনী গড়ে তুলেছেন, তার পরিধি আরও বাড়াবেন তিনি।
এদিকে ক্লদিয়া শেনবাউম শুধু মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্টই হতে যাচ্ছেন না, ইহুদি পরিবার থেকে আসা দেশটির প্রথম কোনো রাষ্ট্রপ্রধানও হচ্ছেন তিনি। এর আগে মেক্সিকোর বেশির ভাগ প্রেসিডেন্টই ছিলেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টান।
জেএন/এমআর