ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সতর্কতামূলক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এ উপলক্ষ্যে সিএমপি কমিশনার কার্যালয়ে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে গবাদি পশু ক্রয়-বিক্রয়, চামড়া ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন, জাল নোটের ব্যবহার রোধ এবং পশুর হাটের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, এবার প্রতিটি কোরবানি পশুর হাটের নিরাপত্তায় থানার নিয়মিত মোবাইল টিমের পাশাপাশি থাকবে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম ও জাল নোট শনাক্তকরণ বুথ। একই সঙ্গে পশুর হাটে থাকবে সাদা পোশাকে পুলিশি ব্যবস্থা, ওয়াচ টাওয়ার, মেডিকেল ক্যাম্প, মানি এস্কর্ট ও নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থা।
আবার পশুবাহী ট্রাক জোরপূর্বক যেন কোনো হাটে কেউ নিতে বাধ্য না করতে পারে, অনুমোদিত হাট ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে যাতে কেউ পশুর হাট না বসাতে পারে, কোথাও যেন কেউ অবৈধ খুঁটির ব্যবসা না করতে পারে, পশুবাহী খালি ট্রাক ফেরত যাওয়ার সময় যাত্রী পরিবহন না করে ইত্যাদি বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে পুলিশ অবহিত করেন।
সভায় জানানো হয়, এবার ঈদের কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন সংক্রান্তেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। চামড়া পাচার রোধকল্পে সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, কোনো এলাকায় যাতে সিন্ডিকেট তৈরি করে কোরবানির চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে, চামড়া ক্রয়-বিক্রয় এবং পরিবহনে কেউ যাতে চাঁদাবাজি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে পুলিশ।
সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়ের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্র্যাফিক) মাসুদ আহাম্মদ, উপ- কমিশনার (সদর) মো. আব্দুল ওয়ারীশসহ সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন কার্যালয়, চসিক, গোয়েন্দা সংস্থা, বাংলাদেশ ব্যাংক, ওয়াসা, পিডিবি, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিরা এবং বিভিন্ন হাটের ইজারাদার ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/এমআর