ডায়াবেটিসে কী খাবেন আর কী খাবেন না এই নিয়ে সারাক্ষণ অস্থির হয়ে থাকেন রোগীরা। এমনকি কোন ফল সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, সেটি নিয়েও সচেতন থাকতে হবে।
সুগারের রোগীদের সব ধরনের ফল খাওয়া চলে না। যেমন গ্রীষ্মকালে আম খেতে পারবেন না। কলাও খেতে হবে বুঝেশুনে। খেজুর ও কিশমিশের মতো শুকনো ফলও না খেলেই ভালো।
গ্রীষ্মকালীন ফল খেয়েও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। যেসব ফলের গ্লাইসেমিক সূচক কম, সেগুলো ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী।
বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে জাম। আর এই ফলই ডায়াবেটিসের যম। জামের মধ্যে শর্করার পরিমাণ কম এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি। এছাড়া, জামে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
আঙুরের মধ্যে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। কিন্তু সীমিত পরিমাণে খেলে এই ফল ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী। আঙুরের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখলে সুগার লেভেল বাড়বে না।
কিউই হলো পুষ্টিতে ভরপুর খাবার। এর মধ্যে শর্করার পরিমাণ কম এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এটি আদর্শ ফল। এই ফল ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।
এই মৌশুমে তরমুজ খান। জলে ভরপুর এই ফলের গ্লাইসেমিক সূচকও কম। তরমুজ ডায়াবেটিসের রোগীদেরকে হাইড্রেটেড ও সতেজ রাখে। তবে, সীমিত পরিমাণে তরমুজ খাওয়াই ভালো।
ডায়াবেটিসের রোগীরা অ্যাপ্রিকট খেতে পারেন। এই ফলেও শর্করার পরিমাণ কম। তাছাড়া, অ্যাপ্রিকটের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার এবং ভিটামিন এ ও সি রয়েছে, যা ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য উপকারী।
জেএন/এমআর