দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে বৃহস্পতিবার আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
প্রস্তাবিত বাজেটের আকার সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে এবারের বাজেটের আকার বাড়ছে চার দশমিক ছয় শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে গণমাধ্যমের কাছে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
যৌথ বিবৃতিতে তারা প্রস্তাবিত বাজেটের আকার প্রায় আট লাখ কোটি টাকা হলেও মোটেও তা উচ্চাভিলাসী নয়, বরং বিদ্যমান বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাস্তবমুখী একটি অর্থনৈতিক প্রস্তাবনা বলে মন্তব্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এ বিবৃতি দেন।
সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে অঙ্গীকার নিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে বাস্তবমুখী প্রস্তাবনা হিসেবে অভিহিত করে বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, এবারের বাজেট প্রণয়নে সরকারকে নানামুখী চাপ মোকাবেলা করতে হয়েছে।
একদিকে আই এম এফ এর পরামর্শ, অন্যদিকে মুদ্রাস্ফীতির চাপ। আই.এম.এফ এর দিক থেকে আগামী অর্থ বছরে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের রাজস্ব বাড়ানোর শর্ত দেওয়া হয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় এবং নানামুখী বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলা করে মুদ্রাস্ফ্রীতি নিয়ন্ত্রণকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণের বাস্তবমুখী পদক্ষেপ বাজেটে নেওয়া হয়েছে।
এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ধনীদের আয়ের উপর কর আরোপ সম্প্রসারণ এবং সংসদ সদস্যদের বিনাশুল্কে গাড়ি আমদানির পরিবর্তে চল্লিশ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়টি অন্যতম ইতিবাচক দিক।
চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আলু সহ নিত্যপণ্যের বাজার দর নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে কর ছাড় ও শুল্ক হার কমানো প্রস্তাবনাও সাধারণ মানুষের জন্য শুভ বার্তা বয়ে আনবে এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি সহনশীল আবহ সৃষ্টি হবে।
সেইসঙ্গে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে বাজেটের প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের অনুকূলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়াও জরুরি।
জেএন/পিআর