ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নুসেইরাতের মেয়র ইয়াদ আল-মাগারি নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এই হামলায় আল-মাগারির পরিবারের কয়েকজন সদস্যও নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সূত্র। আল-মাগারির মরদেহ মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরের আল-আকসা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় সূত্র।
শুক্রবার (৭ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মানবাধিকার সংস্থা ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটরের চেয়ারম্যান রামি আবদুল নিহত মেয়র আল-মাগারিকে ‘গাজার অন্যতম সক্রিয় মেয়র’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
গাজার গণমাধ্যম দফতর নুসেইরাতের এই জনপ্রিয় মেয়রকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা ইয়াদ আল-মাগারির হত্যাকাণ্ডকে ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে।
এতে বলা হয়েছে, আল-মাগারি ছিলেন ‘নিজের দায়িত্ব ও কাজের প্রতি অনুগত ও নিবেদিত’ ব্যক্তি। যুদ্ধের শুরু থেকে পুরোটা সময় নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরের লোকদের সহায়তায় নিযুক্ত ছিলেন আল-মাগারি।
এর আগে, ইসরায়েলি হামলায় দক্ষিণাঞ্চলীয় আজ-জাহরা এবং মধ্য গাজার মাগাজি পৌরসভার মেয়রও নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজাজুড়ে বেশ কয়েকটি পৌরসভার সদর দফতরও ধ্বংস হয়ে গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুসারে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর চলমান ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৩৬ হাজার ৬৫৪। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৮৩ হাজার ৩০৯।
জেএন/এমআর