“এস এস সি ২০০০” ও “এইচ এস সি ২০০২” সালের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন “আমরাই কিংবদন্তী ফাউন্ডেশন” পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও খাবার বিতরণ করেছে।
শুক্রবার (৭ জুন) ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা চাল-ডালসহ ১০ রকমের প্রায় ৩ টন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও খাবার ৩ শতাধিক পরিবারের মাঝে বিতরণ করে পটুয়াখালী’র রাঙ্গাবালী’স্থ চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নে।
এসময় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় রেমালের’সহ আরো বিভিন্ন দুর্যোগে অসহায় মানুষগুলোর পাশে আরো সুসংগঠিত হয়ে আরো বেশি সহায়তা কার্জক্রম আয়োজনের বিষয়ে আয়োজকরা পুনরায় ঐক্যমত পোষন করেন এবং দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যায় প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মাঝে শীঘ্রই সহায়তা প্রদানের বিষয়ে ইচ্ছা পোষন করেন। বিতরণ স্থান হিসাবে চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন’কে বাছাই করার পেছনে দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও বিচ্ছিন্ন দ্বীপে সাধারণ মানুষগুলো বসবাসের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়।
“মানবতার কল্যাণে কিংবদন্তী সবখানে” এই নীতিতে আমরাই কিংবদন্তী ফাউন্ডেশন এর কার্যক্রম চলমান আছে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে।
এই সংগঠনটি এর আগেও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে; এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে কোভিড-১৯ কালীন ফ্রি অক্সিজেন ব্যাংক কার্যক্রম, দেশ জুড়ে পরিচ্ছন্নতা ও জনসচেতনতা, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সহায়তা কার্যক্রম, ফ্রি হেলথ ক্যাম্প, অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ ও ধারাবাহিক খাবার বিতরণ, বৃদ্ধাশ্রমে চিকিৎসা ও খাবার সরবরাহ, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত সদস্যদের আর্থিক সহায়তা এবং রক্তদান কর্মসূচীসহ বিবিধ কার্যক্রম। এছাড়াও রয়েছে স্বাবলম্বীকরণ এবং ইচ্ছাপূরণের মত স্থায়ী উদ্যোগ যার মাধ্যমে ইতিমধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ এর কর্মসংস্থান হয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য যে; “আমরাই কিংবদন্তী ফাউন্ডেশন” এস এস সি ২০০০ ও এইচ এস সি ২০০২ সালের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের দ্বারা পরিচালিত একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যা ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যৌথ মূলধনী কোম্পানী ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর হতে নিবন্ধিত হয়। এছাড়া ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপ “এস এস সি ২০০০ ও এইচ এস সি ২০০২ (আমরাই কিংবদন্তী)” ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করে, যার বর্তমানে সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫১০০০ হাজার।
জেএন/এমআর