প্রায় ৬ বছর পর চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ শনিবার (৮ জুন) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ।
নির্বাচনকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে তিনটি বুথ তৈরি, এজেন্টদের কার্ড বিতরণসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
এবারের নির্বাচনে ৬২৪ জন ভোট দেবেন। এবারের নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ।
চট্টগ্রামের শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির সর্বপ্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ২১ জুলাই।
নির্বাচনকে ঘিরে দামপাড়াস্থ শিল্পকলা একাডেমির এম এম আলী সড়কসহ চট্টগ্রামের শিল্প–সাহিত্য ও সংস্কৃতিকর্মীদের সংগঠন ও আড্ডার স্থলে প্রার্থীদের সাদা–কালো পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।
আজকের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২জন। তারা হলেন– বিশিষ্ট নাট্যজন ও চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির প্রথম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু ও সংগীত শিল্পী ও আবৃত্তি শিল্পী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (হাসান জাহাঙ্গীর)।
নির্বাচনে সহ–সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন। তারা হলেন নজরুল সংগীত শিল্পী দীপেন কান্তি চৌধুরী, আবৃত্তি শিল্পী অঞ্চল কুমার চৌধুরী, এসকেএস মাহমুদ (আলোক মাহমুদ), তাপস শেখর।
যুগ্ম সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন। তারা হলেন– আলাউদ্দিন তাহের, কঙ্কন দাশ, মো. জামশেদ উদ্দীন, মো. শহিদুল করিম চৌধুরী নিন্টু, মুহাম্মদ সাজ্জাত হোসেন ও কমল দাশ।
কার্যকরী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১০ জন। তারা হলেন– রুবেল দাশ প্রিন্স, সামশুল হায়দার তুষার, আশিকুর রহমান, বাপ্পা চৌধুরী, বিশ্বজিৎ পাল, মো. আকরাম হোসেন (বাপ্পী আলমগীর), মোহাম্মদ আলী (আলী প্রয়াস), মো. সেলিম রেজা সাগর, মো. হানিফ খন্দকার, রহিমা খাতুন লুনা।
চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার মো. মোসলেম উদ্দিন বলেন, এবারের নির্বাচনে ৬২৪ জন ভোট দেবেন। এটি চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির দ্বিতীয় নির্বাচন।
প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ২১ জুলাই। তিন বছর মেয়াদ ছিল কমিটির। কিন্তু করোনার কারণে পরে নির্বাচন হয়নি। ২০২৩ সালে কমিটি বিলুপ্ত করে আহ্বায়ক কমিটি করা হয়।
তিনি জানান, তিনটি বুথে প্রত্যেক প্রার্থীর তিনজন করে এজেন্ট থাকবে। দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকবে।
জেএন/হিমেল/পিআর