সহিংসতাকারীদের বিচার হবেই: জয়

নিরাপদ সড়ক দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় যারা সহিংসতা করেছিল তাদের বিচার হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

- Advertisement -

জয় বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। কিন্তু সহিংসতা উসকে দেয়া ও অন্যের ক্ষতি করা বাক স্বাধীনতা নয়। এর জবাবদিহিতা ও বিচার থাকতে হবে। নাহলে বারবার একই ঘটনা ঘটতে থাকবে।

- Advertisement -google news follower

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে জয় এসব কথা বলেন।

গত ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর নিহতের জেরে পরদিন থেকে নিরাপদ সড়ক দাবিতে ব্যাপক আন্দোলনে নামে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। আর তাদের রাস্তায় নেমে যান চলাচল ব্যাহত করার সময় অছাত্ররাও স্কুলের পোশাক পরে অংশ নিয়েছে, এমন প্রমাণ মিলেছে।

- Advertisement -islamibank

এরমধ্যে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে চার ছাত্রকে হত্যা ও চার ছাত্রীকে ধর্ষণের গুজব ফেসবুকে ছড়ানো হয় পরিকল্পিতভাবে। এতে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে বিরোধী দলগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অপপ্রচার চালাতে থাকে বলে ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন সজীব ওয়াজেদ জয়। নিচে জয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-

‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এখন শেষ। এই আন্দোলনের শুরুর দিকেই আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার সব দাবি মেনে নেয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ নির্দেশনা দেন ও শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেন ঘরে ফেরার। কারণ, তাদের আন্দোলন সফল হয়েছে।

দুর্ভাগ্যবশত, সরকার সব দাবি মেনে নিলেও বিএনপিসহ ১/১১’র মিলিটারি ক্যু’র কুশীলব, কিছু চিহ্নিত সুশীল সমাজের প্রতিনিধির এই আন্দোলনের দিকে কু নজর পরে। তারা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে উসকে দিতে থাকেন আন্দোলন চালিয়ে যেতে। ক্রমশই আন্দোলনটি সহিংসতার দিকে যেতে থাকে। প্রাইভেট গাড়ি ভাঙা হয়, পোড়ানো হয় বাস। এমনকি মোটর সাইকেলও জ্বালানো হয়।

পর্দার পেছনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করে অপপ্রচার চালাতে থাকে বিরোধী দলগুলো। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দেয়া। পুলিশের উপর যেন আঘাত আসে, আক্রমণ করা হয় বর্ডার-গার্ডদেরও।

আমরা সবাই অভিনেত্রী নওশাবার ভিডিওটি দেখেছি। যেটি উনি নিজেই ভুয়া হিসেবে মিডিয়ার কাছে স্বীকার করেছেন। শহিদুল আলম শুধু দেশে গুজব ছড়াননি, ছড়িয়েছেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছেও। ’৭১ এর রাজাকারদের মতন এখনো নিজ স্বার্থে দেশের স্বার্থ বিসর্জন দেয়ার মতন অনেক মানুষ আছে।

আমাদের মনে আছে, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামাতের অগ্নিসন্ত্রাসের কথা, যখন ১০০ এর অধিক নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান ও হাজার হাজার মানুষ আহত হন।

জনগণের স্বার্থেই অরাজকতা ও সহিংসতার জবাব দিতে হয়।’

জয়নিউজ/আরসি

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM