চকরিয়ায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমদের গণসংযোগে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়েছে।
হামলায় আহত হয়েছেন বিএনপির অন্তত ২০-২৫ জন নেতাকর্মী। ভাঙচুর করা হয়েছে হাসিনা আহমদের গাড়িবহরের ২টি গাড়িসহ ৫টি মোটরসাইকেল। ছিনিয়ে নেওয়া হয় ২টি মোটরসাইকেল। রক্ষা পায়নি সাংবাদিকদের গাড়িও।
শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কাটাখালীসহ একাধিক স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়া জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসিনা আহমদ বিএনপির একদল নেতাকর্মী নিয়ে নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে যান ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকায়। এসময় হাসিনা আহমদসহ নেতাকর্মীরা কাটাখালী ব্রিজ এলাকায় পৌছুলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী গাড়িবহরে হামলা চালায়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন আলী আহমদ মেম্বার (৫০), মনজুর মেম্বার (৫২), ছাত্রদল নেতা মান্নান (২৯) ও বিএনপি নেতা হারুন (৩৪)। আহত অন্যদের নাম জানা যায়নি। আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে মিজানুর রহমান চৌধুরী জানান।
ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমদ জয়নিউজকে জানান, ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি গণসংযোগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে আমার গাড়িসহ ২টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে, ২টি মোটরসাইকেলও ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। এসময় নেতাকর্মীদেরও মারধর করা হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা দফায় দফায় হামলা চালালেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। চকরিয়া-পেকুয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপির অফিস ভাঙচুর ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার পর প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না আমরা। এ ব্যাপারে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার ও চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগও দিয়েছি।
নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাফর আলম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মূলত বিএনপির প্রার্থী জনসমর্থন হারিয়ে ফেলার কারণে এসব মিথ্যা অভিযোগ করছেন।