ঈদের বাকি আর মাত্র ৬ দিন। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরের পশুর হাটে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।
চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেপারীরা হাটে আসতে শুরু করলেও ক্রেতা হাতেগোনা। তবে থেমে নেই দেখা দেখি আর মোবাইল ফোনে ছবি তোলা।
সোমবার (১০ জুন) এ দৃশ্য দেখা যায় নগরের দ্বিতীয় বড় পশুর বাজার বিবির হাটে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শনিবার (৮ জুন) থেকে এ গরুহাটে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে বেচাকেনা। বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাকে ট্রাকে গরু এসে ভরে গেছে কোরবানির হাট। এখনও আসছে। বিক্রেতারা অপেক্ষায় রয়েছে ক্রেতার।
নগরের হাটগুলোতে আসা বেপারী ও ইজারাদারেরা জানান, এবার গরুর দাম গতবারের তুলনায় কিছুটা বেশি। এখন পর্যন্ত হাটে আসা গরুর মধ্যে দেশি জাতের গরুর সংখ্যা বেশি।
গতকাল কুষ্টিয়া বালিয়াপাড়া থেকে ১০টি গরু নিয়ে বিবিরহাট বাজারে এসেছেন বেপারী মোহম্মদ আবদুল মোনাফ।
তিনি বলেন, দুদিনে একটি গরুও বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। অধিকাংশরাই হাটে আসছেন দরদাম করতেই। এখন দেখে শুনে আগামী বুধবার বা বৃহস্পতিবার থেকে কেনা শুরু করবেন তারা। চট্টগ্রামের ক্রেতারা একটু দেরিতেই গরু কেনেন।
তিনি জানান, তার কাছে থাকা সবচেয়ে ভালো গরুটির দর ১০ লাখ টাকা হাঁকিয়েছেন। বাকি গরুগুলো ২ থেকে ৪ লাখ টাকার মধ্যে বিক্রি করার পরিকল্পনা তার।
বিবিরহাটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এসেছেন একদল গরু বেপারী। তাদের একজন মো. রবিউল বলেন, প্রতি বছর আমরা আরও আগেই চলে আসি এখানে। আমাদের সাথে আছে ৪০টি দেশী গরু।
বিবিরহাটে সকাল থেকে ক্রেতাদের তেমন কোন উপস্থিতি চোখে না পড়লেও দুপুরের পর কিছু ক্রেতার আনগোনা দেখা যায়।
নগরীর বহদ্দারহাট থেকে আসা ব্যবসায়ী আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, এখন আসলে এসেছি পশুর দাম কেমন তা দেখতে। কিনবো আরও তিন চারদিন পর। বাজার ঘুরে মনে হচ্ছে দাম অনেক বেশি।
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে চট্টগ্রামের নগরে তিনটি স্থায়ী এবং সাতটি অস্থায়ীসহ ১০টি পশুর হাট বসেছে এবার।
ইজারাদাররা আশা করছেন, এসব বাজারে স্থানীয়ভাবে হৃষ্টপুষ্ট করা গবাদিপশুর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অন্তত এক লাখ কোরবানিযোগ্য পশু নিয়ে আসবেন বেপারীরা।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে বাজারগুলোতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কোরবানি পশু নিয়ে আসছেন বেপারীরা। গতরাতেও বাজারগুলোতে ট্রাকে ট্রাকে গরু এসেছে, যা অব্যাহত থাকবে কোরবানির আগের দিন পর্যন্ত।
জেএন/হিমেল/পিআর