শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে ও শিশুশ্রম নিরসনে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থাসহ সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিশুদের জন্য একটি সুন্দর, নিরাপদ এবং সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে উঠুক এমন প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, শিশুর যথাযথ বিকাশ নিশ্চিত করতে সব প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকে শিশুশ্রমমুক্ত করতে হবে।
‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে শিশুর সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে তাদের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, শিশুশ্রম একটি বৈশ্বিক সমস্যা। শিশুশ্রম শিশুর স্বাভাবিক শৈশব ও পারিবারিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি তাদের সঠিক মানসিক ও শারীরিক বিকাশ এবং শিক্ষা প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার টার্গেট ৮ দশমিক ৭ এর অধীনে ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম বন্ধের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রথাগত শিশুশ্রম নির্মূলের পাশাপাশি জোরপূর্বক শ্রম, আধুনিক দাসপ্রথা ও মানবপাচার, শিশুদেরকে সৈনিক হিসেবে ব্যবহারসহ নিকৃষ্ট শিশুশ্রমগুলো নিষিদ্ধ ও নির্মূলে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শিশুশ্রম বন্ধ করি, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করি’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সরকার দেশ থেকে সব ধরনের শিশুশ্রম নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্য অর্জনে ইতোমধ্যে ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি, ২০১০’ ও জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২১-২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। শিশুশ্রম নির্মূলে জাতীয় থেকে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত চার স্তরবিশিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রস্তুত করা হয়।
তিনি বলেন, শিশুদের শ্রমসাধ্য কাজে ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে দারিদ্র্য বিমোচন, বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক মানসম্পন্ন শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বৃদ্ধিসহ জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস- ২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করেন।
জেএন/এমআর