চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের স্টিকারযুক্ত একটি প্রাইভেট কারে করে লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া তেওয়ারীহাট বাজারে নামেন তিন ব্যক্তি।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারা বাজারে আসেন। এরপর পুলিশ সেজে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা ছাড়াই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র হাতিয়ে নেন। তাছাড়া সিএনজি অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালক থেকেও তারা চাঁদা আদায় করছিলো।
তবে তাদের আচরণে কয়েকজন ব্যবসায়ীর সন্দেহ হয়। দুয়েকজন সাহস করে তাদের সামনে দাঁড়িয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
এলামেলো কথাবার্তায় সবাই বুঝে যায় এরা ভুয়া। এবার জনরোষের ভয়ে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করার চেষ্টা করে প্রতারক চক্র।
তবে ততক্ষণে বাজারের শত শত ব্যবসায়ী তাদের ঘিরে ফেলে। সামান্য উত্তম-মধ্যমের পর খবর দেন থানায়। পরে পুলিশের একটি টিম এসে তাদের আটক করে।
আটক তিন ভুয়া পুলিশ হলেন- কেওচিয়া ইউনিয়নের নতুন খালের মুখ এলাকার মহিউদ্দিন ও এওচিয়া ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকার আবদুল ছত্তারের ছেলে মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, বহদ্দারহাট এলাকার ইদ্রিসের ছেলে ইলিয়াস বাবুল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিনজন ব্যক্তি একটি প্রাইভেট কারে এসে বাজারে নেমেই হুলুস্থুল কাণ্ড শুরু করে দেন। তারা নিজেদেরকে পুলিশ দাবি করে সিএনজি অটোরিকশার চালক থেকে চাঁদা আদায় করেন।
তাছাড়া ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কাঁঠাল, লিচু নিয়ে যাচ্ছিল। এমন আচরণ দেখে সন্দেহ হলে জনতা তাদের গাড়ি রোধ করেন। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে জনতার রোষানল থেকে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এসময় তাদের ব্যবহৃত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের স্টিকারযুক্ত একটি প্রাইভেট কার, একটি ফাইল ও টিস্যুর বক্স জব্দ করা হয়।
আজ বুধবার (১২ জুন) সকালে তথ্য নিশ্চিত করেন লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম।
বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে পদুয়া বাজারে পুলিশ সেজে চাঁদাবাজি করার সময় প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশের একটি টিম তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশ নয় বলে স্বীকার করেন। গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইন ও দণ্ডবিধিসহ দুটি মামলা রুজু করে বুধবার সকারে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জেএন/পিআর