৯৬ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি কর্মীকে বৈধতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ওমান সরকার। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ১২ ক্যাটাগরিতে লোক নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছে দেশটি। পাশাপাশি দুবাই থেকে তিন হাজার কর্মীর চাহিদা এসেছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
সম্প্রতি শ্রমবাজার ইস্যুতে দুবাই, ওমান ও কাতার সফর করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
ওমান সফরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘দেশটিতে ৯৬ হাজার বাংলাদেশী কর্মী অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তাদের বৈধ করার আশ্বাস দিয়েছে ওমান সরকার।
এ বৈধকরণের জন্য একটি জরিমানা নেওয়া হয়। সে জরিমানা মওকুফের জন্যও আমরা ওমান সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছি। ’
বাংলাদেশ থেকে ওমান ১২ ক্যাটাগরিতে কর্মী নেওয়ার তথ্য জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে ওমান আশ্বাস দিয়েছে। তারা দক্ষ কর্মী নিতে চায়। আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। দক্ষ কর্মী যাওয়া শুরু করলে অদক্ষ কর্মীও যাওয়া শুরু করবেন। পর্যায়ক্রমে সে ব্যবস্থা হবে। ’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার নিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, দুবাই শ্রমবাজার আরো গতিশীল ও বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেখানকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। দুবাই থেকে এরই মধ্যে তিন হাজার কর্মীর চাহিদা এসেছে। এর মধ্যে ৪০০ কর্মী চলেও গেছেন। ৫০০ কর্মী যাওয়ার অপেক্ষায়।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে নির্ধারিত সময়ে প্রবেশ করতে না পারা ইস্যুতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার-বিষয়ক গঠিত তদন্ত কমিটিকে আরো পাঁচ কর্মদিবস সময় দেয়া হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা তিন হাজার কর্মীর অভিযোগ তদন্ত কমিটির কাছে এসেছে।
অভিযোগ দেয়ার সময় ৮ জুন শেষ হলেও এখনো অভিযোগ গ্রহণ করছে মন্ত্রণালয়। আমরা ইমিগ্রেশনে মালয়েশিয়ার রিপোর্ট, ১০১টা রিক্রুটিং এজেন্ট ও বায়রা থেকে রিপোর্ট নিচ্ছি। সে হিসেবে একটু সময় লাগছে।
ঈদের পরে আমরা রিপোর্ট নিয়ে বসব। প্রত্যেকটা পয়েন্টে, প্রত্যেকটা জায়গায় খোঁজখবর নেয়ার মাধ্যমে যা বেরিয়ে আসবে, সেটার ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নেব। ’
শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চাই, কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব ছাড়া একটা সঠিক স্বচ্ছ প্রতিবেদন বেরিয়ে আসুক। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয় সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি।
যারা বাধাগ্রস্ত হয়েছেন, তারা অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। যাদের কারণে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে তাদের কোনোদিন ছাড় দেব না। আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ’
কর্মীদের টাকা ফেরতের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘টাকাটা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে আমরা বসব। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চেষ্টা করব যেন সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেয়া যায়। ’
সিন্ডিকেট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সিন্ডিকেট অ্যালাউ করব না। রিক্রুটিং এজেন্সি যারা অনুমোদিত সবাই কাজ করবে। আমরা চাই, সবাই কাজ করুক, সবার জন্য খোলা থাকুক। আমরা সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না।
জেএন/পিআর