কক্সবাজারে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের সাথে আরসা সন্ত্রাসীদের ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। এতে এক আরসা কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বিদেশি এক পিস্তল।
বুধবার (১২ জুন) সকাল ৬টায় উখিয়ার ঘোনার পাড়া ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-৪ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে বলে। নিহত আব্দুল মোনাফ (২৬) উখিয়া উপজেলার ঘোনার পাড়া ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-৪ ব্লকের বাসিন্দা আজিম উল্লাহ এর ছেলে।
জানা গেছে, আব্দুল মোনাফ একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও আরসা কমান্ডার। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ এপিবিএন এর অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. আমির জাফর। তিনি বলেন- সকালে উখিয়ার ঘোনার পাড়া ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-৪ ব্লকে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা’র সন্ত্রাসীদের ২ গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আরসা সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে।
ত্রিমুখী গোলাগুলির এক পর্যায়ে আরসা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এসময় ঘটনাস্থলের আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় বিদেশি একটি পিস্তল। পরে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অধিনায়ক বলেন, কি কারণে আরসা সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গেলো সোমবারও ৪ নম্বর এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩ জনকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত রয়েছে ৭ রোহিঙ্গা। এর পরেরদিন একই ক্যাম্পে আরেক রোহিঙ্গাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এনিয়ে চলতি বছরের গত পাঁচ মাসে রোহিঙ্গা শিবিরে সশস্ত্র গোষ্ঠীর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২২ জন রোহিঙ্গা খুন হয়েছেন।
জেএন/পিআর