গত জানুয়ারিতে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন মোহাম্মদ আরফাত ও মিজবাহুল জান্নাত তারিন। কয়েক মাস আগে বধূর সাজে সেজেছিলেন যে তরুণী, ঈদের দিন মিললো তার মরদেহ। তারিনের পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ির যৌতুকের দাবি মেটাতে না পারায় বিষপান করিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি মিরিখিল গ্রাম থেকে তারিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মিজবাহুল জান্নাত তারিন উপজেলার আধুনগর রশিদার ঘোনা গ্রামের নুরুল ইসলাম পুতুর মেয়ে। একই উপজেলার চুনতি মিরিখিল গ্রামের ফরিদুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ আরাফাতের সঙ্গে কয়েক মাস আগে বিয়ে হয় তার।
তারিনের পরিবারের দাবি, কোরবানির ঈদে ছাগল না দেওয়ায় বিষপান করিয়ে হত্যা করা হয়েছে তারিনকে। তারিনের স্বামী মোহাম্মদ আরাফাত অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে তার মা যৌতুকের জন্য তারিনের পরিবারকে চাপ দিচ্ছিলেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করছেন আরাফাতের মা।
নিহত তারিনের মা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকে তারিনকে যৌতুকের জন্য নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কোরবানি উপলক্ষে তারিনের শাশুড়ি ছাগল দাবি করেন। কিন্তু দিতে না পারায় বিষপান করিয়ে তারিনকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তার দাবি, তারিনকে তার শাশুড়ি ও ননদ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন।
তারিনের স্বামী আরাফাত বলেন, আমাদের সুখের সংসার ছিল। কোরবানি উপলক্ষে রোববার রাতে কর্মস্থল থেকে বাড়িতে আসি। সকালে ঈদের নামাজ পড়ে এসে জানতে পারি তারিন বিষপান করে বমি করছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তারিন।
চিকিৎসকের বরাতে লোহাগাড়া থানার এসআই সত্যজিৎ বলেন, গৃহবধূ তারিনকে বিষপান করা অবস্থায় হাসপাতালে আনেন শশুরবাড়ির লোকজন। দীর্ঘ এক ঘণ্টা চিকিৎসার পর বেলা ১১টার দিকে মারা যান ওই গৃহবধূ।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। হত্যা নাকি আত্মহত্যা এখনই বলা যাচ্ছে না। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জেএন/এমআর