সিঙ্গাপুরে মেরামতে সামিটের এলএনজি টার্মিনাল, গরমে বাড়বে লোডশেডিং

অনলাইন ডেস্ক

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত সামিট গ্রুপের ভাসমান এলএনজি টার্মিনালটি (এফএসআরইউ) মেরামত করতে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে। দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট ধারণক্ষমতার এই টার্মিনালটি সিঙ্গাপুরের একটি ডকইয়ার্ডে মেরামত করতে আরও ১৫ থেকে ১৭ দিন লাগবে। মেরামত শেষে দেশে আনতে আরও সময় লাগবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

- Advertisement -

সূত্রমতে, সামিটের ওই ভাসমান টার্মিনাল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ এ মাসে সম্ভব হচ্ছে না। দেশের দুটি এফএসআরইউর মধ্যে একটি বন্ধ থাকায় পেট্রোবাংলা ইতিমধ্যে স্পট এলএনজি কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। এর প্রভাব পড়বে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। বাড়তে পারে লোডশেডিং।

- Advertisement -google news follower

জানা যায়, কাতার এনার্জি থেকে জ্বালানি বিভাগের প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার তিন কার্গো স্পট এলএনজি কেনার কথা ছিল। পেট্রোবাংলা সম্প্রতি ওই তিন কার্গো স্পট এলএনজি কেনার আদেশ বাতিল করেছে।

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, দেশে দুটি এফএসআরইউ দিয়ে দৈনিক ১০০ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে একটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপের, অন্যটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান এক্সিলারেট এনার্জির। গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার আগেই দুটি এফএসআরইউ গভীর সমুদ্রে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে সামিট গ্রুপের এফএসআরইউটি ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালটি দেশে মেরামত করতে না পেরে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

- Advertisement -islamibank

জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনাল গত মঙ্গলবার মালয়েশিয়া থেকে জ্বালানি তেল নিয়েছে। গতকাল বুধবার সিঙ্গাপুরে ডকে ছিল। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে টার্মিনাল মেরামতের কাজ ধরা হবে। কাজ শুরু হলে ১৫-১৭ দিনের মধ্যে শেষ হবে। তারপরই দেশের পথে রওনা দেবে টার্মিনাল। এ মাসের মধ্যে মেরামতের কাজ শেষ হবে না।

ওই কর্মকর্তা জানান, এক্সিলারেট নিরাপদ স্থানে টার্মিনাল নিয়ে যেতে পেরেছে, কিন্তু সামিট পারেনি। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় চুক্তি অনুযায়ী সামিটকে প্রতিদিনের জন্য জরিমানা দিতে হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় এর প্রভাব পড়বে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। তবে ঈদের কারণে সরকারি-বেসরকারি অফিস ও কলকারখানা পুরোদমে চালু হতে কিছুদিন সময় লাগবে। এরপরই বাড়বে লোডশেডিং।

এক কর্মকর্তা বলেন, লোডশেডিং ৮-১০ দিনের মধ্যে বড় আকারে বোঝা যাবে না। এরপরই লোডশেডিং তীব্র হতে পারে। তখন লোডশেডিং সামাল দিতে কলকারখানায় গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হবে।

আমদানি করা এলএনজি ও দেশের গ্যাসকূপ থেকে গড়ে ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। দেশে এই মুহূর্তে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ৩৫০ কোটি ঘনফুটের বেশি। সামিটের এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ হওয়ায় এবং বেশ কয়েকটি কূপের সংস্কারকাজ চলায় বর্তমানে দৈনিক গ্যাস সরবরাহ নেমে এসেছে ২১০ কোটি ঘনফুটে। সামিটের এলএনজি টার্মিনাল দ্রুত সংস্কার করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM