চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ১ম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও নিরাপত্তার অযুহাতে ১১ জন ইউপি সদস্যই সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে সদস্য সংকটের কারণে সভার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
জানা গেছে, পরিষদের প্রথম সাধারণ সভা বর্জন করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের ১১ জন চেয়ারম্যান। নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কায় ইউপি চেয়ারম্যানরা সভায় অংশগ্রহণ করেননি। ফলে, সদস্য সংকট দেখা দেয়ায় সভার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বারশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ। তিনি বলেন, একাধিক ইউপি চেয়ারম্যানদের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত চেয়ারম্যানদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও বিভিন্ন মামলার আসামিদেরকে আজকে উপজেলা মিটিং এ দেখেছি। যারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মান্নানের উপর হামলা করেছিলেন। সুতরাং সব মিলিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আমরা অংশগ্রহণ করিনি।
কাইয়ুম ছাড়াও অন্য যে সব চেয়ারম্যানেরা উপজেলার প্রথম সভা বর্জন করেছেন তাঁরা হলেন-১ নং বৈরাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, ৩নং রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিন শরীফ, ৪নং বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী (যিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নির্বাচনের পরে আহত হয়েছেন), ৫নং বরুমচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম চৌধুরী, ৬নং বারখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল চৌধুরী শাকিল, ৭নং সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেব, ৮নং চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল, ৯নং পরৈকোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক বাবুল, ১০নং হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন চৌধুরী, ১১নং জুইদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার ইদ্রিস।
বিষয়টি অবগত রয়েছেন বলে জানালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন। তিনি বলেন, খোঁজখবর নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
জেএন/পিআর