ফরাসি ভাষায় ফেট ডে লা মিউজিক-আর বাংলায় বিশ্ব সংগীত দিবস। আগামীকাল ২১ জুন (শুক্রবার) বিশ্ব সংগীত দিবসে বিশ্ব জুড়ে আয়োজন করা হয় গানের আসর, শিল্পী সমাবেশ, শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা, কর্মশালা ও নানামুখী সংগীতবিষয়ক আনুষ্ঠানিকতা।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্ব সংগীত দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদসহ সংগীতের বিভিন্ন সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় বর্ণিল আয়োজনে দিবসটি পালন করে।
তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণেও বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে শুরু হবে সংগীতায়োজন। আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে একাডেমীর জেলা কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দিন।
জানা গেছে, বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ ২০০৭ সালে এই দিনটি পালন শুরু করে।
১৯৮২ সালে ফ্রান্সে ‘ফেত দ্য লা মিউজিক’ বা ‘মেক মিউজিক ডে’ নামে একটি দিনের উদ্যাপন শুরু করা হয়। ফ্রান্সের সংস্কৃতিমন্ত্রী জ্যাক ল্যাং ১৯৮১ সালে ভাবতে শুরু করেন বিষয়টি নিয়ে।
বহু বছর ধরেই এই দিনে ঐতিহ্যবাহী মিউজিক ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করছে ফ্রান্স। এভাবে ১৯৮২ সালে এসে এ ফেস্টিভ্যাল ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে’তে রূপ নেয়। ১৯৮২ সালে ফরাসি মন্ত্রী জ্যাক ল্যাং প্রথম বিশ্ব সংগীত দিবস পালনের প্রস্তাব করেন।
১৯৮৫ সালের ২১ জুন প্রথম গোটা ইউরোপ এবং পরে সারা বিশ্ব এই সংগীত দিবস পালন করে। এরপর থেকে দিনটি বিশ্ব সংগীত দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর প্রথম থেকেই আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দিবসটি পালন করে আসছে।
‘গান হতে হবে মুক্ত : সংশয়হীন’- এই স্লোগানকে সামনে রেখেই বিশ্বের ১১০টি দেশ যোগ দেয় এই আন্দোলনে। কয়েক দশকের পথ পরিক্রমায় আন্তর্জাতিক মাত্রা পায় এটি।
আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, স্থানীয়ভাবে অথবা ফরাসি দূতাবাসের সহায়তায় জুনের ২১ তারিখে পালন করা হয় ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে’।
জেএন/পিআর