আগের ম্যাচে সার্বিয়ার সঙ্গে জয়ে ভক্ত সমর্থকদের মন ভরাতে পারেনি ইংল্যান্ড। অন্যদিকে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে ড্র করে নিজেদের সামর্থ্য প্রকাশ করতে পারেনি ডেনমার্কও। এবার ইংল্যান্ডের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রথমে পিছিয়ে পড়েও ১-১ সমতায় থেকে ম্যাচ শেষ করে ডেনিশরা।
ম্যাচের ১৩ মিনিটে ম্যান সিটি তারকা ফোডেনের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে গোলবঞ্চিত হয় ইংলিশরা। তবে ইংল্যান্ডকে গোল পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি।
ডেনমার্কের লেফট ব্যাকের ভুলে কাইল ওয়াকার বল পেয়ে ডিবক্সে বাড়ালে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের পায়ে বল লেগে হ্যারি কেইনের কাছে গেলে বা পায়ের শটে গোল করে দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। জাতীয় দলের হয়ে এটি তার ৬৪তম ও ইউরোতে এটি তার ৫ম গোল।
গোল খেয়ে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ডেনমার্ক। ইংল্যান্ডের ডি বক্সের ভেতর মুহুর্মুহু আক্রমণ করতে থাকে তারা। ২৬ মিনিটে ম্যান ইউ তারকা এরিকসনের শট ব্লক করে দেয় ইংলিশরা। তবে ডেনিশরা আক্রমণ করে গোল ঠিকই আদায় করে নেয়।
৩৪ মিনিটে হলম্যান্ডের দূরপাল্লার ডান পায়ের শট গোলবারে লেগে ইংল্যান্ডের জালে প্রবেশ করলে অসাধারণ এক গোল পায় ডেনমার্ক। ৪৫ মিনিটে হজবার্গ আরেকটি সুযোগ পেয়েছিলেন গোলের কিন্তু তার শট তালুবন্দি করেন পিকফোর্ড। ১-১ সমতায় থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে দুই দলই। ৫১ মিনিটে ডেকলাইন রাইসের দূরপাল্লার শট তালুবন্দি করেন ক্যাসপার স্মাইকেল। ৫৬ মিনিটে গোলের অন্যতম সু্যোগটি পায় ইংল্যান্ড। কিন্তু ফোডেনের দূরপাল্লার শট গোলবারে লেগে প্রতিহত হয়। রিবাউন্ডে সাকা শট নিলে সেটিও চলে যায় বাইরে।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের কেউই গোলের আর তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ফলে ১-১ সমতায় থেকেই ম্যাচ শেষ হয় ম্যাচ।
দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপে এখনও শীর্ষে আছে ইংল্যান্ড। তবে ডেনমার্কের সামনেও সুযোগ রয়েছে পরের রাউন্ডে যাওয়ার। সুযোগ আছে স্লোভেনিয়ারও। তাই ড্র করে কিছুটা চাপে আছে ইংলিশরা।
জেএন/এমআর