দুই পরাশক্তির লড়াইটাও হলো সেয়ানে সেয়ানে। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। তবে ম্যাচে বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়নদের ওপর ভালোই ছড়ি ঘুরিয়েছে স্পেন। যদিও দাপুটে খেলেও তারা গোল করতে পারেনি।
শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী গোলের সুবাদে ইতালিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে স্পেন। এতে করে ইউরো কাপের শেষ ষোলোও নিশ্চিত করেছে ২০০৮ ও ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের শুরু থেকে মাঝমাঠ দখলে নেয় স্পেন। ম্যাচের ১০ মিনিটে দারুণ সুযোগ পান স্পেনের নিকো উইলিয়ামস। কিন্তু তার ফ্রি হেড গোলবারের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়।
২৪ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ তৈরি করে স্পেন। এবার আলভারো মোরাতার দারুণ শট রুখে দেন ইতালির গোলরক্ষক ডোন্নারুমা।
৩৭ মিনিটে স্পেনের ফাবিয়ান রুইজ ডিবক্সের বাইরে থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিলে গোলবঞ্চিত হয় স্পেন। প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে ইতালির কিয়েসা শট নেওয়ার সুযোগ পেলেও তা লক্ষ্যে পৌঁছায়নি।
গোলশূন্য ড্র থেকে বিরতি থেকে ফিরে দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে। ৫২ মিনিটে পেদ্রির নেওয়া শট একটুর জন্য বার ঘেঁষে চলে যায়।
৫৫ মিনিটেই ইতালির চীনের প্রাচীর ভাঙে তাদের দলের এক ফুটবলার। আগের ম্যাচের নায়ক বোলগনার ডিফেন্ডার ক্যালাফিওরি নিজেদের জালে নিজেই বল প্রবেশ করান। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ইতালি।
৫৮ মিনিটে মোরাতার শট দারুণ সেভ করেন ডোন্নারুমা। ৫৯ মিনিটে নোম্যান্ডের হেড রুখে দেয় স্পেনের ডিফেন্ডাররা। ৬৯ মিনিটে লামিন ইয়ামালের দূরপাল্লার শট ডান বার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
৭১ মিনিটে আরো একবার গোলেত খুব কাছে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয় স্পেনকে। নিকো উইলিয়ামসের ডান পায়ের বাকানো শট ডোন্নারুমেকে ফাঁকি দিলেও গোলবারকে দিতে পারেনি। প্রতিহত হয়ে বল চলে যায় মাঠের বাইরে।
৮৬ মিনিটে ক্রিস্টানটের হেড রুখে দেন স্পেনের উনাই সিমন। ৯২ ও ৯৩ মিনিটে পরপর দুবার আয়োজে পেরেজের শট দারুণভাবে ঝাপিয়ে পড়ে রুখে দিয়ে দলকে বড় পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা করেন ডোন্নারুমা।
ম্যাচের শেষ দিকে আরো আক্রমণ চালালেও গোলের দেখা পায়নি ইতালি। ফলে ১-০ গোলের জয় নিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে স্পেন।
অন্যদিকে এই হারেও শেষ ষোলোতে ওঠার সুযোগ রয়েছে ইতালির সামনে। শেষ ম্যাচে ড্র করলেই তারা যাবে পরের রাউন্ডে।
জেএন/এমআর