পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন আলোচিত সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক সরকারি ব্যবস্থাপনায় চালুর পর আয়ের ৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৬১ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করেছেন তদারকি কমিটির সদস্যরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বশেষ আয়ের ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জমা দেওয়া হয়। এদিন বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোপালগঞ্জ কার্যালয়ের উপপরিচালক ও তদারকি কমিটির সদস্য সচিব মো. মশিউর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, গত শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে গত বুধবার (১৯ জুন) পর্যন্ত ৬ দিনে পার্কের মধ্যে দর্শনার্থী প্রবেশ এবং রাইড ফি বাবদ আয় হয়েছে ২ লাখ ৭১ হাজার ৫ টাকা।
এ ছাড়া কাশফুল বিক্রি করে ২০ হাজার টাকা ও আম বিক্রি করে আরও ৪৮ হাজার ২১৬ টাকা আয় হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট আয় হয়েছে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৬১ টাকা।
আয় হওয়া এসব টাকা তদারকি কমিটির আহ্বায়ক গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের ব্যবস্থাপনায় যে হিসাব খোলা হয়েছে সেই হিসাবে জমা করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সাভানা পার্ক তদারকি কমিটি ও জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় গত শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য পার্কটি খুলে দেওয়া হয়।
ওই দিন সকাল থেকে আগের মতো ১০০ টাকা গেট ফি দিয়ে পার্কের ভেতরে প্রবেশ করেন দর্শনার্থীরা। গত ৪ জুন সার্ভার জটিলতা দেখিয়ে সাময়িকভাবে পার্কটি বন্ধ করে দিয়েছিল পার্ক কর্তৃপক্ষ। এর পর থেকে পার্কটি বন্ধ ছিল।
জেএন/পিআর