প্রাচীন পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়াবহ অস্ত্রের নাম ছিল ‘শোতেল’। ইথিওপিয়ার সুপ্রাচীন সভ্যতায় এর উদ্ভাবন ঘটে। প্রচ- ধার এবং বাঁকানো অবয়বের কারণে এর খ্যাতি ছিল বিশ্বজোড়া। অশ্বারোহী এবং পদাতিক উভয় জাতের যোদ্ধাই এই তলোয়ার ব্যবহার করত।
ঠিক কত সালে প্রথম এর উদ্ভাবন ঘটে তা অবশ্য ইতিহাসবিদরা জানাতে পারেননি। তবে রাজা আমদা সিয়নের রাজত্বকালে (১৩১৪-১৩৪৪ সাল) এই অস্ত্রের ব্যাপক প্রচলন ঘটে। রাজার বাহিনীতে এই অস্ত্রধারীদের নিয়ে আলাদা একটি ব্যাটালিয়ন ছিল। ‘শোতেলাই’ বলে তাদের ডাকা হত।
নরমাল সোর্ড ফাইটিংয়ের পাশাপাশি হুকিং অ্যাটাকের স্পেশালিটির জন্য শোতেল ছিল মোক্ষম অস্ত্র। বিশেষত অশ্বারোহীদের বিরুদ্ধে এই তলোয়ার ছিল মারাত্মক হুমকি। হুকিং অ্যাটাক দিয়ে অশ্বারোহীদের কুপোকাত করত শোতেলাইরা। এর ব্লেডটি প্রায় ৪০ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হত। হাতলে বিশেষ প্রক্রিয়াজাত চামড়া ব্যবহার করা হত।
অষ্টাদশ শতকে এর আরো কিছু আধুনিকায়ন করা হয়। পরে যুদ্ধের কলাকৌশল ও সমরাস্ত্রের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটলে এর ব্যবহার থেমে যায়। তবে প্রাচীন অস্ত্রসমূহের ভেতর সবচেয়ে কার্যকর ও ভয়াবহ অস্ত্র হিসেবে শোতেল আজো কিংবদন্তির মত।
জয়নিউজ/আরসি